Amit Shah: মোদী-দিদির সেটিং তত্ত্বের জবাব দিলেন শাহ

Amit Shah In Kolkata: প্রিভেশনশন অফ মানি লন্ডারিংয়ের অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক তুলে আনেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্য, অরবিন্দ কেজরিবাল, একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন গ্রেফতার হতে পারে, তাহলে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ১৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরও তার মালিক কেন এখনও গ্রেফতার হননি? তাহলে কি সেটিং তত্ত্ব?

Amit Shah: মোদী-দিদির সেটিং তত্ত্বের জবাব দিলেন শাহ
সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহImage Credit source: TV9 Bangla

Dec 30, 2025 | 1:59 PM

কলকাতা: সিপিএমের তোলা মোদী-দিদি ‘সেটিং’-এর অভিযোগ বঙ্গের রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক প্রতিবার বাংলার নির্বাচনের আগে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে বাংলায় যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তখন আরও একবার তাঁর সামনে উঠে এল এই সেটিং তত্ত্ব। বাংলার বুকে একটা প্রশ্ন বারবার উঠেছে, কেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এত আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরও আসল মালিককে গ্রেফতার করা হল না? নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘কাকু’ অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির পর উঠে এসে এই কোম্পানির নাম। তাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে কোটি কোটি টাকা, তারপর কেন গ্রেফতারি নয়? সেই প্রশ্ন উঠেছে। অমিত শাহর সামনেও সেই প্রশ্নের উত্থাপন করেন এক সাংবাদিক।

প্রিভেশনশন অফ মানি লন্ডারিংয়ের অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক তুলে আনেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্য, অরবিন্দ কেজরিবাল, একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন গ্রেফতার হতে পারে, তাহলে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ১৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরও তার মালিক কেন এখনও গ্রেফতার হননি? তাহলে কি সেটিং তত্ত্ব? সাংবাদিকের কথায়, সে প্রশ্ন, বিজেপির একেবারে নীচু তলার কর্মী থেকে বাংলার মানুষের মনে জেগেছে? কেন এত কোটির দুর্নীতির পরও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মালিককে গ্রেফতারি নয়?

সে প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ বলেন, “বিজেপির কোনও নেতা এজেন্সির কাজে নাক গলায় না। এজেন্সি যেটা করার নিশ্চয়ই করবে, কাউকে ভয় পাবে না, কাউকে বাঁচাবে না।”

নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সত্যিই কোনও ‘সেটিং’ আছে কি না, ‘কেন্দ্রে মোদী-রাজ্যে দিদি’ ফর্মুলায় বঙ্গের রাজনীতিতে কোনও নেপথ্য সমীকরণ তৈরি করে রাখা হয়েছে কি না, ছাব্বিশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবারও চর্চিত বিষয়। এবারও সে বিষয় উত্থাপিত হয়। এদিন বাংলায় এসে অমিত শাহ আবারও দুর্নীতি ও অপশাসন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দেন।

চিটফান্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন, আবাস-একশো দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন অমিত শাহ। পার্থর বাড়ি থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কি জবাব দিতে পারবেন, আপনারই মন্ত্রীর ঠিকানা থেকে ২৭ কোটি টাকা পাওয়া যায়, যা গুনতে গুনতে নোট গোনার মেশিনও গরম হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।”

পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেবল নয়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জীবনকৃষ্ণ-মানিকের গ্রেফতারি নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তাঁর কথায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। শাহর কথায়, “এখানে দুর্নীতির জন্য বাংলার বিকাশ থমকে গিয়েছে। ১৪ বছর ধরে দুর্নীতিই বাংলার পরিচয় হয়ে উঠেছে।” ছাব্বিশের এপ্রিলের পর বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার দিয়ে গেলেন শাহ.