
শিলিগুড়ি: হিয়ারিংয়ের জন্য বয়স্কদের অফিসে ডাকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে সরব তৃণমূল। হিয়ারিংয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অসুবিধার কথা বলছেন ভোটাররাও। ভোটের আগে এতে কি অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে হিয়ারিংয়ে ডাক পাওয়া ভোটারদের সাহায্যে জন্য হেল্প লাইন চালু করল বিজেপি। শিলিগুড়িতে হেল্প লাইনের কথা জানালেন সেখানকার বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পর্ব। হিয়ারিংয়ে ডাক পাওয়া বয়স্করা নানা অসুবিধায় পড়ছেন। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি রোগী, সন্তানসম্ভবা এবং ৮৫ বছরের বেশি বয়স্কদের হিয়ারিংয়ের জন্য অফিসে আসতে হবে না। বিশেষভাবে সক্ষমদেরও হিয়ারিং বাড়িতে হবে। কিন্তু, ৮৫ বছর কম বয়সিদের হিয়ারিংয়ের জন্য অফিসে আসতেই হবে। ফলে ৮০ থেকে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও হিয়ারিংয়ের জন্য অফিসে যেতে হচ্ছে। অনেককে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হচ্ছে। যা তাঁদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। এই নিয়ে ভোটারদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলও প্রথম থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব।
এসআইআর শুনানিতে ভোটারদের হয়রানির অভিযোগ যেমন উঠছে, তেমন অনেকক্ষেত্রে শুনানিকেন্দ্রে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠছে। এই নিয়েই এদিন মহকুমাশাসকের দফতরে আসেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানেই তিনি জানান, SIR শুনানিতে ভোটারের হয়রানি কমাতে শিলিগুড়িতে হেল্প লাইন চালু করেছে বিজেপি। এদিন তৃণমূলের ধাঁচেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, দুই শুনানিকেন্দ্রে ভোটারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকের জন্ম সার্টিফিকেট নেই। তা চাওয়া হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ভোটারের কাছে যুক্তিগ্রাহ্য নথি থাকলে তাঁকে হয়রান করা চলবে না। ভোটারদেরও বলতে চাই, সমস্যা থাকলে আমাদের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করুন। আমরা সেই সমস্যা কমিশনে তুলে ধরব।শিলিগুড়ি বিধানসভার হেল্প লাইন নম্বর ৮০৬৫৯১৭০৯১।” রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ভোটারদের হয়রানি নিয়ে তৃণমূল যেভাবে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তাতে চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সেজন্যই হেল্প লাইন চালু কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।