SIR: বিএলএ ২-দের ঢুকতে বাধা, বিধায়ক বন্ধই করে দিলেন শুনানি

SIR In WB: রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে ভার্চুয়ারি বৈঠকে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএলএ-দের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "এখন যুদ্ধের সময়, এক ইঞ্চি ছবিও ছাড়বেন না। হিংয়ারিংয়েও থাকবেন।"

SIR:  বিএলএ ২-দের ঢুকতে বাধা, বিধায়ক বন্ধই করে দিলেন শুনানি
বিধায়ক অসিত মজুমদারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 29, 2025 | 12:33 PM

হুগলি:  এসআইআর-এর শুনানির মাঝে বিএলএ ২-দের ঢুকতে বাধা। কিন্তু তাঁদের ঢোকানোর জন্য বিধায়কের গা জোয়ারি। তাই নিয়ে উত্তেজনা চুঁচুড়া-মগড়া ব্লক অফিসে। শুনানির মাঝে গিয়েই বিধায়ক অসিত মজুমদারের হম্বিতম্বি। তাঁর হুঁশিয়ারি,
বিএলএ ২-দের শুনানিতে রাখতে হবে। না হলে বন্ধ থাকবে শুনানি। বিডিও-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিধায়কের। আর তারপরই তিনি শুনানি বন্ধ করে দেন। ফিরে এসে নিজের অফিস থেকে সরাসরি ফোন করে এসডিও-র কাছে।

ঠিক কী ঘটেছে? 

সকাল থেকে চুঁচুড়া-মগড়া ব্লক অফিসে হিয়ারিংয়ের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে তৃণমূলের বিএলএ ২ রা ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। ফোন যায় বিধায়কের কাছে। বিধায়ক চলে আসেন সভাপতির ঘরে। সেখান থেকেই বিডিও-র সঙ্গে কথা হয়। তারপর এসডিও-র সঙ্গে। বিএলএ ২ দের ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি শুনানিও বন্ধ রাখেন বলে অভিযোগ। ফোনে অসিত মজুমদারকে এসডিও-কে বলতে শোনা যায়, “বিএলএ ২-রা থাকবে। বিএলএ ২-রা থাকতে পারবে না, এটা তাহলে ওদের লিখিত দিতে হবে। লিখিতও দিচ্ছে না।” তিনি ফোনে এসডিও-কে বলেন, “বিএলএ ২-দের যখন ঢুকতে দিচ্ছে না, আমরা শুনানি বন্ধ করে রেখেছি।”

হঠাৎ এহেন দাবি কেন? 

প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে ভার্চুয়ারি বৈঠকে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএলএ-দের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এখন যুদ্ধের সময়, এক ইঞ্চি ছবিও ছাড়বেন না। হিংয়ারিংয়েও থাকবেন।” কিন্তু কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুনানিতে থাকার কথা নয় বিএলএ-দের। মাইক্রো অবজারভারদের থাকার কথা। কিন্তু শুনানিতেও গড়মিল হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই অভিষেকের এই পরামর্শ। আর ঠিক তার পরই কোমর বেঁধে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। হিয়ারিং সেন্টারে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিএলএ ২ দেরও থাকতে দিতে হবে। কেবল হুগলি নয়, ভাটপাড়া সহ একাধিক জায়গা থেকে এই ধরনের খবর আসতে শুরু করে।

কী বলছেন বিধায়ক? 

বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, “আমি শুনানি ক্যাম্পের মধ্যে ঢুকিনি। আমি রয়েছি সভাপতির ঘরে। বিএলএ ২ রা ঢুকতে পারবেন না, এটা কোন আইনি রয়েছে। আইন দেখাতে বলেছি, কেন ঢুকবে না? নির্বাচন কমিশন বেআইনি কাজ করছে। আমরা গা জোয়ারি করিনি, প্রতিবাদ করেছি।”

‘উস্কানি রয়েছে’

বিষয়টা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের
বক্তব্য, “উনি এই ধরনের কাজ সব সময়েই করেন। এত সাহস হওয়ার কথা নয়, যে একটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে পারে। এর পিছনে কোনও উস্কানি নিশ্চয়ই কাজ করছে। নাহলে এত বড় সাহস ওর হওয়ার কথা নয়।”