
খসড়া তালিকা দেখা যাচ্ছে ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে অনেকে খসড়া তালিকায় নিজের নাম সার্চ করে দেখছেন। কিন্তু এতেই কি নিশ্চিন্ত থাকা যাবে? ইলেকশন কমিশন সূত্রে খবর, না। খসড়া তালিকায় নাম থাকলেই যে কেউ নিশ্চিন্তে থাকবে যে তার নাম ফাইনাল লিস্টে থাকবে, এমন নয়। তাহলে? খসড়া তালিকায় নাম থাকলে তাকে ডেকে পাঠানো হতে পারে? কী বলছেন ইলেকশন কমিশন?
গত ১৬ ডিসেম্বর একসঙ্গে ২টো তালিকা প্রকাশ করেছে ইলেকশন কমিশন। একটা খসড়া তালিকা। আর অন্য একটি তালিকা, যে তালিকায় তাদেরই নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় নেই। এবার এই দ্বিতীয় তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা কেন খসড়া তালিকায় নেই, তার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আর এই তালিকার সঙ্গে নামের পাশেই সেই কারণ লেখা যে খসড়া তালিকা থেকে কোন কারণে তাঁদের নাম বাদ পড়েছে।
দ্বিতীয় তালিকায় মূলত নাম রয়েছে তাঁদের, যাঁদের এনুমারেশন দিতে গিয়ে খুঁজে পায়নি ইলেকশন কমিশন। যাঁদের পরিবার জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা মৃত। এ ছাড়াও তাঁরাও রয়েছেন যাঁরা অন্য কোনও নির্বাচনী ক্ষেত্রে নিজেদের স্থানান্তরিত করে নিয়েছেন। কিন্তু এই যে এত তথ্যের গরমিল, বা অনেকের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না থেকেও খসড়া তালিকায় রয়ে গিয়েছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে এবার ভাবনা চিন্তা শুরু করবে কমিশন।
জানা গিয়েছে, এবার এই খসড়া তালিকা ধরে একটা স্ক্রুটিনি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাঁরা যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা করেছেন, তাঁদের সকলেই রয়েছেন খসড়া তালিকায়। এবার স্ক্রুটিনি ও প্রোজ়েনি ম্যাপিং শুরু করবে কমিশন। আর তারপরই একে একে এই সব গরমিল যুক্ত নামগুলোকে হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। তাই, খসড়া তালিকায় নাম আছে মানেই আপনি নিশ্চিন্ত, এমন কিন্তু নয়। কোনও কারণে আপনার তথ্যে কোনও সমস্যা থাকলে বা আপনাকে নিয়ে কমিশন যদি সন্দেহ করে, তাহলে কিন্তু আপনার সমন আসবে। আর তার জন্য আগে থেকেই বৈধ নথি নিয়ে তৈরি থাকুন আপনি।