
কলকাতা: খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যেই। আপনি জানতেও পেরে গিয়েছেন আপনার নাম তালিকায় রয়েছে কি না! যাঁদের নাম নেই, তাঁদের ডাক পড়তে পারে শুনানিতে। এবার খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই শুনানির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, আজ থেকে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত বুথে বসতে হবে বিএলও-দের। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রোজ তাঁদের বুথে বসতে হবে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। শুনানিতে কাদের ডাক পড়বে, সেটাও জানাবেন বিএলও-রাই। এদিন থেকেই ভোটার তালিকার হার্ড কপি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিডিও অফিস থেকে সেই হার্ড কপি সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছেন বিএলওরা। বিএলএ-দের কাছ থেকেও গিয়ে জেনে নিতে পারবেন, আপনার নাম রয়েছে কিনা!
কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, তালিকায় নাম না থাকলে, অনলাইন বা অফলাইন ফর্ম ৬ পূরণ করতে হবে। জন্মের প্রমাণ সংক্রান্ত নথিও জমা করতে হবে। ফর্ম ৬ এ আবেদনের পর শুনানিতে ডাকবে কমিশন। শুনানিতে নাগরিকত্বের প্রামাণ্য নথি জমা করতে হবে। কমিশনের উল্লেখিত, ১১টি নথির মধ্যে ১টি নথি দেখাতে হবে। তাহলেই আপনার তালিকায় নাম উঠে যাবে। অর্থাৎ ভারতের নাগরিক হলে, আর তার যথার্থ প্রামাণ্যপত্র থাকলে, শুনানির পরই তালিকায় নাম উঠে যাবে।
বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত আশ্বস্ত করেছেন, “তালিকা যদি নাম না দেখতে পান, তাহলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অনলাইনের ফর্ম ৬-এ আবেদন করা যাবে। তারপর শুনানির জন্য ডাকা হবে। কাগজ দেখালেই নাম রোলে তুলে দেওয়া হবে। এখানকার বাসিন্দা আর তার প্রমাণ থাকলেই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।”
উল্লেখ্য, শনিবারই কমিশনের তরফ থেকে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়, শুনানির সময়ে থাকতে হবে বিএলও-দের। আগামী ১ মাস পর্যন্ত তাঁদের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব রয়েছে। এমনকি প্রয়োজন পড়লে শনি ও রবিবারও ডেকে পাঠানো হবে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, হিংয়ারিংয়ের সময় যাঁদের ডাকা হবে, তাঁদের সংক্রান্ত তথ্য, অর্থাৎ তাঁদের নাম প্রথমে কেন দেওয়া হয়েছিল, কেন বাদ দেওয়া হল, কোনও তথ্য সন্দেহজনক হলে, বিএলও-দের কমিশনের কাছে উত্তর দিতে হবে। কিন্তু বিএলও-দের তরফ থেকেও বলা হচ্ছে, তাঁদের জন্য কোনও সময় নির্ধারিত করা হয়নি।