
কলকাতা: খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা যাবেন হিয়ারিংয়ে। দেখাতে হবে উপযুক্ত নথি, যাতে তাঁরা প্রমাণ করতে পারেন তাঁরা এদেশেরই নাগরিক। এতদিন এটা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কবে থেকে হিয়ারিং অর্থাৎ শুনানি শুরু, সেটা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। এবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানা গেল, ২৬-২৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে শুনানি।
কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাইক্রো অবজারভারদের থাকায় হিয়ারিংয়ে কোন ওয়েব ক্যাম বা সিসিটিভি থাকবে না। আগামী ২৪ ডিসেম্বর মাইক্রো অবজারভারদের ট্রেনিং দেবে কমিশন। জানা যাচ্ছে, ভাল কাজের জন্য ৬০০ জন বিএলও-কে সম্মান দেবে কমিশন। ইতিমধ্যেই আবার শোকজ করা AERO-দের ডেকে পাঠিয়েছে কমিশন।
বিপুল সংখ্যক লোকের হিয়ারিংয়ের পরিকাঠামো কি আদতেও নির্বাচন কমিশন তৈরি করতে পেরেছে, এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিডিও অফিস এসডিও অফিসে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এসে লাইনে দাঁড়ানোর মতন উপযুক্ত জায়গা নেই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্টারে ১১টি করে টেবিল হবে। সেক্ষেত্রে এক একটা টেবিলে প্রতিদিন ১০০র বেশি মানুষের কথা শুনতে হবে। আদতেও কি এই স্বল্প সময়ে এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এ প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী থেকে বিরোধী দলগুলো।
খসড়া তালিকায় বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম। এ ছাড়াও খসড়া তালিকায় নাম থাকলেও ডাক পড়তে পারে শুনানিতে। কারণ কমিশনের নজরে এখন রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জনের নাম। ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিয়ারিংয়ের নোটিস দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।