
কলকাতা: বয়স্কদের জন্য বাড়িতে গিয়ে হিয়ারিংয়ের দাবি তুলেছে তৃণমূল। এবার কাদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে হিয়ারিং করা হবে, সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়ে দিল, যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সন্তানসম্ভবা এবং ৮৫ বছরের বেশি বয়স যাঁদের, সেই সব ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে হিয়ারিং করা হবে। তবে পঁচাশি বছরের নীচে যাঁদের বয়স, তাঁদের হিয়ারিংয়ের জন্য আসতে হবে। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও বাড়িতে গিয়ে হিয়ারিং হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় হিয়ারিং শুরু হওয়ার পর থেকে নানা ইস্যুতে সরব হয়েছে। শনিবার হিয়ারিং পর্ব শুরু হয়েছে। ওইদিনই সিইও অফিসে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ফের এদিন সিইও দফতরে গিয়ে সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি। সেখানে বয়স্কদের হিয়ারিংয়ের জন্য অফিসে ডাকা নিয়ে সরব হন তাঁরা। আবার হিয়ারিংয়ে রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ ২’দের থাকতে দেওয়ার দাবি জানান। যাঁরা ভিন রাজ্যে রয়েছেন, তাঁদের ভার্চুয়ালি হিয়ারিংয়ের দাবিও জানান পার্থ ভৌমিক, শশী পাঁজারা।
তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সিইও-র সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশন জানিয়ে দিল কাদের হিয়ারিংয়ের জন্য আসতে হবে না। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সন্তানসম্ভবা, বিশেষভাবে সক্ষমদের হিয়ারিংয়ে জন্য অফিসে আসতে হবে না। তাঁদের বাড়িতে যাবে কমিশনের লোক। ৮৫ বছরের বেশি বয়স যাঁদের, তাঁদেরও আসতে হবে না। তবে যাঁদের বয়স পঁচাশির কম, তাঁদের হিয়ারিংয়ে অফিসে আসতে হবে।
বিএলএ-২’দের হিয়ারিং থাকতে দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের দাবি মানল না কমিশন। হিয়ারিংয়ে বিএলও, ইআরও, এইআরও ছাড়া কেউ থাকবে না। বিএলএ হিয়ারিংয়ে থাকবে না, এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য কমিশনকে জানিয়েছে সিইও দফতর। আবার ডিজিপি ও পুলিশ সুপারদের শুনানি কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলল কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, বিএলএ-২’দের নিয়ে ঝামেলা হলে হিয়ারিং বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যাঁরা রাজ্যের বাইরে থাকে, তাঁদের ভার্চুয়ালি শুনানির দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। কমিশন জানাল, ফর্ম ৬-এর মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারেন। আর ভার্চুয়ালি হিয়ারিং হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ইআরও। জেল কয়েদিদের হিয়ারিং নিয়ে কমিশন জানিয়েছে, বন্দিদের বাড়িতে চিঠি যাবে। বাড়িতে গিয়ে চেকিং শুনানি হতে পারে।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কমিশনের পর্যবেক্ষক এস মুরুগানের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনায় সিইও দফতর থেকে জেলাশাসক ও নোডাল অফিসারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আবাসনে ভোটকেন্দ্র নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী ৬-৭ জন জেলাশাসককে নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।