Abhishek Banerjee: কোন ‘জাদুকাঠিতে’ ৫৮ লক্ষ হয়ে গেল ১ কোটি ৩২ লক্ষ? ‘Logical Discrepancies’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক
Abhishek Banerjee On Logical Discrepancies: Logical Discrepancies ক্যাটাগরিতে চারটে ভাগ রয়েছে। AERO-দের যে লগ-ইন আছে, তাতে 'পার্ট বাই পার্ট' কিছু কিছু তথ্য গড়মিলের কেস আপলোড করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি এই সমস্যা ধরা পড়েছে বলে অভিষেক দাবি করেন। তাঁর দাবি, যে অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে, তাতেও যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে।

নয়া দিল্লি: ‘Logical Discrepancies’- নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ জনের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এই শব্দবন্ধটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। তাঁর কথাতেও এই ‘Logical Discrepancies’ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। কেন? কারণ অভিষেকের কথায়, এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভোট চুরির যাবতীয় রহস্য।
‘Logical Discrepancies’ অর্থাৎ তথ্যগত গড়মিল। এনুমারেশন ফর্মে দেওয়া তথ্যে সমস্যা রয়েছে, এই হেতু দেখিয়ে আবার ভোটারদের হিয়ারিংয়ের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। প্রথম থেকেই অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রায় 1 কোটি 33 লক্ষ ভোটারের নাম ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’ বা তথ্যগত গরমিলের অজুহাতে সন্দেহজনক তালিকায় রেখেছে। সেই তালিকা প্রকাশের দাবি আগেই করেছিলেন অভিষেক। এবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন ‘ব্যাকএন্ডসে’ এর কাজ চলছে!
কীভাবে অটোমেটিক হিয়ারিং নোটিস ইস্যু হয়ে যাচ্ছে? তার ব্যাখ্যা দেন অভিষেক।
তাঁর বক্তব্য, Logical Discrepancies ক্যাটাগরিতে চারটে ভাগ রয়েছে। AERO-দের যে লগ-ইন আছে, তাতে ‘পার্ট বাই পার্ট’ কিছু কিছু তথ্য গড়মিলের কেস আপলোড করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি এই সমস্যা ধরা পড়েছে বলে অভিষেক দাবি করেন। তাঁর দাবি, যে অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে, তাতেও যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। যখনই Logical Discrepancies সেকশনে যাওয়া হচ্ছে, চারটে আলাদা করে বিভাগ খুলে যাচ্ছে। প্রথমটাই ‘Send To DEO’, দ্বিতীয় ‘Genarting Hearing Notices’, তৃতীয় ‘Found Ok’, চতুর্থ ‘Found Ineligible’। দেখা যাচ্ছে, সব নথি সাবমিট করার পর যখন ‘Found Ok’তে ক্লিক করা হচ্ছে, তখনই হিয়ারিং নোটিস জেনারেট হয়ে যাচ্ছে। সেখানে সব Ok থাকলেও, অকোমেটিক শুনানির নোটিস ইস্যু হচ্ছে।
অভিষেক এদিন CEC-র সামনে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তাঁর কথায়, কমিশনের কাছে এই বিষয়টির কোনও সদুত্তর ছিল না। যদিও অ্যাপে কিছু সমস্যা থাকতে পারে বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
অভিষেকের দাবি, ঠিক এই জায়গাতেই গড়মিল হচ্ছে, আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে ভোট চুরির রহস্য। । অভিষেকের কথায়, ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটার ছিল। ৫৮ লক্ষ বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতারাতি সেই সংখ্যাই পৌঁছে যায় কোটিতে! অভিষেকের কথায়, “৮০ হাজার বিএলও, ৩০০০ এইআরও কাজ করছে ২ মাস ধরে কাজ করেছে। আর রাতারাতি কীভাবে নির্বাচন কমিশন বলে দিতে পারল, ১ কোটি ৩২ লক্ষের তথ্যে গড়মিল?” তাঁর বক্তব্য, ঠিক এই জায়গাতেই ব্যাক এন্ডসে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, ভোটার তালিকায় হচ্ছে কারচুপি! আর সেই কারণেই হিয়ারিংয়ে বিএলএ ২ দের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই রহস্যই হাতেনাতে ধরেছেন বলে দাবি অভিষেকের।
