
মেদিনীপুর: শুনানি চলছিল। তার মাঝেই হঠাৎ করে শুনানি কেন্দ্রে ঢুকে গেলেন তৃণমূলের বিএলএ ২-রা! মেদিনীপুরে জেলাশাসকের কার্যালয়ে বন্ধ এসআইআর-এর শুনানি প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট সূচি মেনে সোমবার সকাল থেকেই মেদিনীপুরে জেলাশাসকের কার্যালয় শুরু হয়েছিল এসআইআর-এর শুনানি প্রক্রিয়া। যাঁদের নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছিল, তাঁরাও হাজির হয়ে গিয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। শুনানি চলতে চলতেই হঠাৎ করে শাসকদলের বিএলএ ২-রা ঢুকে পড়েন শুনানিকেন্দ্রে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই শুনানিপর্বে ডাক পাওয়া ভোটার ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারবেন না। তৃণমূলের বিএলএ ২-দের শুনানিকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু তাঁরা কোনওভাবেই বেরোতে চান না। এই নিয়ে একটা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর জেরে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে শুনানি প্রক্রিয়া। শাসকদলের দাবি, লিখিত আকারে জানাতে হবে কেন বিএল এ টু এদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে মেদিনীপুরের AERO মধুমিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন রয়েছে, যে সমস্ত ভোটারদের শুনানি পর্বে ডাকা হয়েছে, তাঁরা ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুনানিস্থলে থাকতে পারবেন শুধুমাত্র এআরও, এইআরও, মাইক্রো অবজারভার সহ ইলেকশন কমিশনের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে ভার্চুয়ারি বৈঠকে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএলএ-দের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এখন যুদ্ধের সময়, এক ইঞ্চি ছবিও ছাড়বেন না। হিংয়ারিংয়েও থাকবেন।” কিন্তু কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুনানিতে থাকার কথা নয় বিএলএ-দের। মাইক্রো অবজারভারদের থাকার কথা। কিন্তু শুনানিতেও গড়মিল হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই অভিষেকের এই পরামর্শ। আর ঠিক তার পরই কোমর বেঁধে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব।