Abhijit Ganguly: ‘নিখোঁজের সন্ধানে’, নন্দীগ্রামে কারা খুঁজছে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎকে?

BJP MP Abhijit Ganguly: ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, 'অভিজিৎ গাঙ্গুলি এমপি-কে দেখেছেন? কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সন্ধান পাইলে নন্দীগ্রামের জনগণের সহিত যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।' কারা দিল এই নিখোঁজ পোস্টার? এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

Abhijit Ganguly: নিখোঁজের সন্ধানে, নন্দীগ্রামে কারা খুঁজছে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎকে?
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিখোঁজ পোস্টারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 22, 2025 | 8:38 PM

তমলুক: লোকসভা নির্বাচনের পর দেড় বছরের বেশি কেটে গিয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় সাংসদকে নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। তাই, এবার তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খুঁজতে নিখোঁজ পোস্টার পড়ল নন্দীগ্রামে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়া নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। জবাব দিয়েছে বিজেপিও।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুকে তৃণমূলের দেবাংশ ভট্টাচার্যকে হারান। কিন্তু, নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

এবার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সাংসদের দেখা নেই বলে পোস্টার পড়ল। নন্দীগ্রাম ৪ নম্বর অঞ্চল, ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এমপির সন্ধান চাই বলে পোস্টার লাগানো হয়েছে। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘অভিজিৎ গাঙ্গুলি এমপি-কে দেখেছেন? কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সন্ধান পাইলে নন্দীগ্রামের জনগণের সহিত যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।’

কারা দিল এই নিখোঁজ পোস্টার? এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে। এর পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখছে তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ সামসুল ইসলাম বলেন, “এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কয়েকদিন আগে ব্রিগেডে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধর করা হয়েছিল। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এই পোস্টার দিয়েছেন।”

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির নন্দীগ্রাম মণ্ডল ২ সভাপতি সুদীপ দাস দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের দেউলিয়াপনার এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ এটি। পোস্টার পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পড়ুক, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে নয়। কারণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়মিত নন্দীগ্রামে আসেন। তবে ২০২১ সালে নির্বাচনে হারার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেজো বোন নন্দীগ্রামে একবারও আসেননি। তাই পোস্টার পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই পড়ুক।” এদিন নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থাকার কথাও জানান তিনি।