
তারকেশ্বর: এসআইআর শুনানি নিয়ে অতান্তারে তারকেশ্বরের সাহা পরিবার। আনম্যাপিংয়ের জেরে বাড়ির বউমার ডাক পড়েছে শুনানিতে। এদিকে মেয়ের ক্যানসারের চিকিৎসায় তিনি মুম্বইতে। ফলে যেতে পারছেন না শুনানিতে। এবার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকবে তো? তা নিয়েই চিন্তায় গোটা পরিবার।
তারকেশ্বরের সাহাপুরের সাহা পরিবারের বউমা তপস্বিনী সাহা। আদতে তাঁর বাড়ি ওড়িশায়। তারকেশ্বর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর এলাকায় সাহা পরিবারে কুমারেশ সাহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে সাড়ে চার বছর আগে। তারপর থেকে তিনি নম্বর ওয়ার্ডের ২৭০ নম্বর বুথের ভোটার।
এদিকে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং হয়নি তাঁর নাম। ডাক এসেছে শুনানিতে। অন্যদিকে ক্যানসারের কারণে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাহা পরিবারের সাড়ে তিন বছরের নাতনি। সে কারণেই তপস্বিনী বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন। এদিকে রবিবার শুনানিতে ডাকা হলেও তিনি যেতে পারছেন না। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এ বিষয়ে প্রশাসনিকভাবেও কোনও সুরাহা হয়নি। উদ্বেগের সঙ্গেই শ্বশুর বলছেন, “ওড়িশায় তো এসআইআর হয়নি। সে কারণে ২০০২ সালের কোনও রেকর্ড পাচ্ছি না। বর্তমানের রেকর্ড দিয়ে এসআইআর ফর্ম জমা হলেও আগের পাওয়া যায়নি। এথন ওকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হয়েছে। কিন্তু ও তো মুম্বইতে রয়েছে।”
অন্যদিকে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলছেন, “এসআইআরের পদ্ধতিটাই সম্পূর্ণ ভুল। এত অল্প সময়ে এটা হয় না। হুগলি জেলাতেই ১ লক্ষের বেশি মানুষকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কোথাও বাবার পদবির সঙ্গে অক্ষরে অমিল রয়েছে, নিজের নামে কোথাও আকার ওকারে সমস্যা রয়েছে। এসব দেখে ডাকা হচ্ছে। কিন্তু এপিক কার্ড বানিয়েছে কে? নির্বাচন কমিশনের এজেন্সি।”