
বড়জোড়া: এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়েই মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দাবি, এসআইআর-র ফলে অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাবে। আর এই নিয়েই এদিন মমতা প্রশ্ন তোলেন, “শুধু বাংলায় অনুপ্রবেশকারী থাকলে পহেলগাঁও ও দিল্লিতে হামলা তোমরা চালালে?” কেন তাড়াহুড়ো করে ২ মাসে এসআইআর করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আর মাস চারেক পর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। এই আবহে এদিন বড়জোড়ার বীরসিংহপুর ময়দানে জনসভা করেন মমতা। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে গত ১৪ বছরে তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। বলেন, মাওবাদী আতঙ্কে একসময় বাঁকুড়ায় আসতে ভয় পেতেন পর্যটকরা। বাঁকুড়া জেলার পড়ুয়াদের ভাল ফলের কথা উল্লেখ করেন।
এরপরই এসআইআর নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসেছেন। নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, “বাংলাতেই নাকি শুধু অনুপ্রবেশকারী। কাশ্মীরে নাকি নেই। তাই যদি সত্যি হয়, একটা প্রশ্নের উত্তর চাই। পহেলগাঁও কি আপনারা করলেন? দিল্লিতে কিছুদিন আগে যে ঘটনা ঘটল, অনুপ্রবেশকারী বাংলা ছাড়া নাকি কোথাও নাই, তাহলে কি আপনারা করলেন?” এসআইআর-এ এখনও পর্যন্ত ৫৮ থেকে ৬০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন।
বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নিয়েও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “উত্তর প্রদেশ, অসম, ওড়িশা, রাজস্থানে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। আমরা তো অত্যাচার করি না।”
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও জেলার ২টি আসনের মধ্যে বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে জয়ের মুখ দেখেনি রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল এই জেলায় কী ফল করে, সেটাই দেখার।