
কলকাতা: সত্তরোর্ধ্ব বয়স! প্রথমে ব্রেন স্ট্রোক, তারপর হার্ট অ্যাটাক! হুগলির চুঁচুড়ার সাহাগঞ্জের প্রবীণ গৌরী মান্নার এক মুহূর্ত চলে না ইনহেলার ছাড়া। আয়ার কাজ করতেন সেই কাজও ছাড়তে হয়েছে অসুস্থতার জন্য। লাঠি নিয়ে কোনওভাবে হাঁটাচলা। বাড়িতে বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়ে থাকেন তিনি। কারণ দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাঁকেও ডাকা হয় শুনানিতে। বাধ্য তাঁকে যেতেই হবে।
স্পষ্টতই ক্ষোভ উগরে দেন তার ছেলে প্রসেনজিৎ। অসুস্থ মাকে টোটো করে কোনওভাবে নিয়ে এসেছিলেন শুনানিতে। কিন্তু সিঁড়ি ভেঙে দোলতায় উঠতে পারেননি মাকে নিয়ে। পরে নির্বাচন কমিশনের আধিকারীক যারা শুনানি করছেন। তাঁরাই নীচে নেমে এসে বৃদ্ধার শুনানি করেন। সই সাবুদ করিয়ে নেন। বৃদ্ধা গৌরী মান্না বলেন,খুব কষ্ট হচ্ছে বসে থাকতে।।
ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছিলেন না গৌরীদেবী। বললেন, “মাথায় জল জমেছে। ঠিকভাবে কথাও বলতে পারি না।” কেন তাঁকে ডাকা হয়েছে, সেটাও তিনি ভালভাবে জানেন না। বললেন, “আমি তো কিছুই জানি না, কেন ডেকেছে। আমার স্বামী জানে। ছেলে নিয়ে এসেছে। আমি ওতদূর যেতে পারব না। দাঁড়াতে পারি না বেশিক্ষণ, বসেও থাকতে পারিনা। হাত-পা কাঁপে।” কথা বলতে বলতেই ইনহেলার নিতে হল তাঁকে।
মাইক্রো অবজারভারও বললেন, “আসলে আমরাও তো চাই না ওনাদের হেনস্থা করতে। আসলে কমিশনেরও কিছু গাইড লাইন রয়েছে। সেগুলো আমাদের মেনে চলতেই হয়।”