Municipal Election: প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রার্থী, আচমকা পিছন থেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Municipal Election: প্রচারে বাধা দেওয়ার জন্যই এই সব কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইসলামপুর : পুরভোটের আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। একাধিক জেলা থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সামনে আসছে অভিযোগ। আর এবার এক প্রার্থীর অভিযোগ, কোনও মামলা না থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে আচমকা তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ইসলামপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তমালি ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, প্রচার চলার সময় আচমকাই তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তমালি ঘোষের স্বামী সৌমেন ঘোষের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, তাই গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজেপি প্রার্থী তমালি ঘোষ জানান মঙ্গলবার সকালে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। তখনই কিছু পুলিশ কর্মী এসে তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি বলে তাঁর দাবি, পুলিশও তাঁকে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনাযর পর ইসলামপুর থানায় উপস্থিত হন। তাঁদের দাবি, তাঁদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশকে ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামপুর থানার সামনে জাতীয় সড়কও অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি।
এ দিকে, ইসলামপুর থানাযর পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল সৌমেন ঘোষের বিরুদ্ধে, তার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিকে, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সৌমরুপ মণ্ডলের দাবি, হারের ভয়ে এ সব করছে তৃণমূল। তাঁর দাবি, বিরোধীরা যখন ব্যাকফুটে আছে, তখন এত ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর দাবি, ইসলামপুরে কোনও দিন রাজনৈতিক হিংসা ছিল না। ভোটের আগে শাসক দল অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তাঁদের সেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে আদালতের তরফে। কাঁথি, ইংরেজ বাজার, ভাটপাড়া পুরসভার ওই সব বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চেয়েই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।