কলকাতা : রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা- নেত্রীই পেয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে বহু বিতর্কও হয়েছে। আর এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হল পুরভোটের বিজেপি প্রার্থীকে। সম্প্রতি সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরভোটের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে। প্রার্থীর সঙ্গে সব সময় থাকছেন সিআইএসএফ জওয়ানেরা। তাঁর ওপর যে কোনও সময় হামলা হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন সজল ঘোষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুরভোটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। পুরোদমে প্রচার চলছে। এরই মধ্যে বিজেপির প্রার্থীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষের বাড়ি লেবুতলা পার্কে। সেই বাড়ির সামনে গত কয়েকদিন ধরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই পাঁচ সিআইএসএফ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে সজল ঘোষের বাড়ির সামনে।
প্রার্থী সজল ঘোষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁকে নানা বিষয়ে সাবধান করেছিলেন বলেও জানান বিজেপি প্রার্থী। তিনি আরও জানান, আইবি-র তরফ থেকে তাঁকে বলা হয়েছে যে, তাঁর ওপর যে কোনও সময় হামলা হতে পারে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। ওই ঘটনার কিছুদিন পরই তাঁর বাড়িতে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়।
বর্তমানে প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে থাকছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। প্রচারে বেরলেও তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে, ভোট মিটে যাওয়ার পরও তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মাস কয়েক আগে এই বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে মুচিপাড়ায় বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় এক তৃণমূল যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন সজল এবং তাঁর সঙ্গীরা। যদিও সে অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। বিজেপি-র তরফেও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয় ও গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের দাদাগিরি বলেই চিহ্নিত করা হয়েছিল।
এ দিকে পুরভোটের প্রচারে খামতি রাখছে না বিজেপি। পুরভোটেও বাদ যাবে না সেই প্রচারের জাঁকজমক। এবার তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং-এর মতো দিল্লির নেতা-মন্ত্রীরা। পাশাপাশি এ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকেও দেখা যাবে ভোটের প্রচারে। এছাড়াও শহর জুড়ে প্রচার সভায় দেখা যাবে রামকৃপাল যাদব, দেবশ্রী চৌধুরী, এস এস আলুওয়ালিয়া, দীনেশ ত্রিবেদী, মনোজ তিওয়ারি, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাংসদদের।
আরও পড়ুন : Governor on BSF issue: ‘আইন ও সংবিধান মানা উচিৎ মুখ্য়মন্ত্রীর’, বিএসএফ ইস্যুতে বার্তা রাজ্যপালের