Governor on BSF issue: ‘আইন ও সংবিধান মানা উচিৎ মুখ্য়মন্ত্রীর’, বিএসএফ ইস্যুতে বার্তা রাজ্যপালের

Governor on BSF issue: আগে বিএসএফ-এর এক্তিয়ারে ছিল ১৫ কিলোমিটার। এখন সেটাই বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়।

Governor on BSF issue: 'আইন ও সংবিধান মানা উচিৎ মুখ্য়মন্ত্রীর', বিএসএফ ইস্যুতে বার্তা রাজ্যপালের
বিএফএফের এক্তিয়ার ইস্যুতে সামনে আসছে রাজ্য ও রাজপাল সংঘাত। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2021 | 1:21 PM

কলকাতা : বিএসএফ ইস্যুতে রাজ্য ও কেন্দ্রের সংঘাত আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই ইস্যুতে আরও প্রকট হচ্ছে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত। বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। এবার ফের সেই ইস্যুতেই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা বলা হয়েছে। তারপরও কেন মমতা সেটা মানতে চাইছেন না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধনখড়।

আজ এক অনুষ্ঠানে গিয়ে জাগদীপ ধনখড় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘কেন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন?’ তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নির্দেশ মানছেন না তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় সংবিধান ও আইন মেনে চলার কথা বলা হয়। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কেন আইন মানছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’ ইচ্ছাকৃত অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে মমতার উচিৎ আইন মেনে এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে, রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে বিএসএফের সুসম্পর্ক বজায় থাকে।

বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল। এমনকি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করেছে রাজ্য সরকার। আর এই ইস্যুতে এ রাজ্যে কংগ্রেসকে পাশে পাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এই বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ধরনের নির্দেশের বিরোধিতা করেছিলেন। রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্যই এক্তিয়ার বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন অধীর চৌধুরী।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএসএফের এক্তিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেখানেও বিএসএফ যাতে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কোনও কাজ করে সেটা বিডিয়ো ও আইসিকে দেখতে হবে।

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেই লেখেন, ‘বিএসএফ নিয়ে মমতার বক্তব্যে উদ্বিগ্ন। পুলিশ-বিএসএফের মধ্যে সংঘাত কাম্য নয়। দুই বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।’ চিঠিতে লেখা হয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত নয়, তা বাড়িয়ে কেন্দ্র ৫০ কিলোমিটার করেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যা বলছে, তাতে সংঘাতের আবহ তৈরি হয় বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন : Governor Met Narayan Debnath: বাঁটুল স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে রাজ্যপাল, চিকিৎসার দায়িত্ব নিল রাজভবন