Governor Met Narayan Debnath: বাঁটুল স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে রাজ্যপাল, চিকিৎসার দায়িত্ব নিল রাজভবন
Howrah: এদিন রাজ্যপাল শিল্পীর জন্য ফুলের তোড়া, কেক নিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন।

হাওড়া: বাংলা শিশু সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ নারায়ণ দেবনাথ। তাঁর হাত ধরেই বাঙালি পেয়েছে বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে, হাঁদা-ভোঁদাকে। সেই নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার সকালে নারায়ণ দেবনাথের শিবপুরের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। সেখানে জগদীপ ধনখড় জানান, শিল্পী নারায়ণ দেবনাথের চিকিৎসার অতিরিক্ত খরচ এবার থেকে সামলাবে রাজভবন।
এদিন সকালে বিখ্যাত একাধিক কার্টুন চরিত্রের প্রাণপুরুষ নারায়ণ দেবনাথের স্বাস্থ্যের খবর নিতে শিবপুরের বাড়িতে যান সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বেশ কিছুক্ষণ শিল্পী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই শিল্পীর পরিবারকে এই প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যপাল।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই অসুস্থ শিল্পীকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। সেই সময় রাজ্যপালকে প্রবীণ শিল্পী তাঁর সৃষ্ট বাঁটুলের ছবিও এঁকে উপহার দেন। এর পর এদিন নারায়ণ দেবনাথের হাওড়ার বাড়িতে যান রাজ্যপাল।
বাঁটুলের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথের এখন বয়স প্রায় ৯৬ বছর। বার্ধক্যজনিত বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে এখন শয্যাশায়ী তিনি। এর আগে যখন নারায়ণ দেবনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শনিবারও আবার দেখা করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সস্ত্রীক সেখানে যান। শরীরের খোঁজ খবর নেন। রাজভবনের তরফ থেকে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে রাজ্যপাল জানান, যে কোনও সময় যে কোনও রকম প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে শিল্পীর পরিবার। সবসময় পাশে রয়েছেন তিনি।
Feeling inspired and energised after being blessed by Padma Shri Shri Narayan Debnath- creator of the Handa Bhonda; Batul the Great and Nonte Phonte at his residence in Howrah. At 96, found him very alert. pic.twitter.com/xSkxzJHfol
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 11, 2021
এদিন রাজ্যপাল শিল্পীর জন্য ফুলের তোড়া, কেক নিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। এর পর জগদীপ ধনখড় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “উনি যে ভাবে নিজের শিল্পকর্মে সমাজকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন, ওনার অলঙ্করণগুলি ঐতিহাসিক। ওনার চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সাহায্য রাজভবন দেবে। যাতে ওনার চিকিৎসায় কোনওরকম কোনও প্রতিবন্ধকতা না আসে।”
রাজ্যপালের এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অবশ্য সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলায় শোনা গেল কটাক্ষের সুর।সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যপাল স্বভাববশত বা অভ্যাসবশত সংবাদের শিরোনামে ভেসে থাকতে পছন্দ করেন। এটা ওনার কাজের মধ্যে পড়ে না। পড়ার কথাও না। এই পজিশনটারই প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। কিন্তু যতক্ষণ তা আছে সে পদের মর্যাদা তো রক্ষা করতে হবে। খবরে ভেসে থাকার জন্য এক্তিয়ার থাকুক বা না থাকুক ঢুকে পড়াটা এটা কোনও কাজের কথা না। এটা রাজ্যপালের পদমর্যাদাকে লঘু করছে।”
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল বলেন, “নারায়ণবাবু অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি উনি যেমন মানুষ তাতে উনি আরও খুশি হতেন যদি রাজ্যপাল বলতেন পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, কোভিডের জন্য রাজভবন সবসময় আছে। গিমিকের পলিটিক্স রাজ্য সরকারও করছে, কেন্দ্র সরকারও করছে, রাজভবনে যিনি বসে আছেন তিনি তো কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন।”
আরও পড়ুন: বিজেপিই অনুপ্রেরণা, তাই পুরভোটেও ইস্তাহার প্রকাশ করছে তৃণমূল! দাবি দিলীপের





