কলকাতা: শনিবার কলকাতার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে এসে তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) কে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ঘণ্টা খানেকের ব্যবধান। তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে পাল্টা দিলীপকে বিঁধলেন পার্থ।
“পার্থবাবু হাঁটাচলা করতে পারে না, ওঁনার সমস্যা রয়েছে। আমরা লোকের কাছে হেঁটে চলে বেড়াই।” স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ। আর বেহালা পশ্চিম বিধানসভার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত তৃণমূল প্রার্থী পার্থ সরকারের সমর্থনে এক পথসভা থেকে দিলীপকে পাল্টা বিঁধলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “দিলীপ বাবুরা ছোটেন ভাল। তাই পালাচ্ছেনও তাড়াতাড়ি। যারা মানুষের সাথে থাকে মানুষের হয়ে কাজ করে তারাই তো ৫২ হাজার ভোটে জেতে।”
পার্থ আরও বলেন, “উনি হয়ত হারটা বুঝে উঠতে পারেননি। বেহালার বুকে বেহালা পূর্বপাড়া, পশ্চিম দু’জায়গাতেই প্রার্থী দিয়েছিল (বিজেপি)। নিজেও এসেছিলেন (দিলীপ)। বড় বড় ফিল্মস্টারদের নামিয়েছিলেন। (উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একুশের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অভিনেতা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এখন তৃণমূলে)। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই দৌড়তে পারেন বলেই তাড়াতাড়ি দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছেন”।
এদিকে এদিন গোয়ার ভোটকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের নয়া প্রকল্পকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, “আগে গৃহলক্ষ্মী করার আগে গোয়াতে গিয়ে সংগঠন করুন। গোয়াতে কাজ করলে রোজ ৭০০ টাকা করে পায়। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি-বাকরি নেই। ৫০০ টাকার জন্য (লক্ষ্মীর ভাণ্ডার) এখানে লোকে লাইন দেয়। গোয়ার লোক কেন গৃহ লক্ষ্মীর জন্য লাইন দেবে?”
আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা মন্তব্য, “সময় আসলেই সব বোঝা যাবে, যে কী হবে। এসব কথা তো ঈর্ষা থেকে বলছে… যাদের জনভিত্তি নেই তারা আবার এসব কথা কী করে বলে! এই ঘোষ, ওই মজুমদার, এঁরা তো এখন অতল জলের আহ্বানে চলে গিয়েছেন”।
এদিন আবার কলকাতার তৃণমূলের দশদিগন্ত ইশতাহার আসলে বিজেপির অনুকরণ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “কলকাতায় বহু বছর ধরে তৃণমূলের মেয়র রয়েছে। এতদিন কেন এই পরিকল্পনাগুলো সম্পূর্ণ হয়নি? সুব্রত মুখার্জি মেয়র ছিলেন। এখন কেন এসব ইশতাহার প্রকাশ করছে। জলনিকাশী ব্যবস্থা এখানে কিছুই হয়নি। মানুষ কীভাবে বিশ্বাস করবে যে এই কাজগুলো আবার হবে?”
আবার হাওড়া ভোট নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে একজনের কথায় চলে, রাজ্যপালকে এরা তোয়াক্কা করছে না। রাজ্যপাল কোন বিরোধিতা করছে না। উনি জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে কেউ যায়নি। বরং রাজ্যপালকে টার্গেট করা হচ্ছে, অসম্মান করা হচ্ছে। তিনি সংবিধানিক পোস্টে থেকে যেটা তাঁর করণীয়, সেটাই করছেন এবং ওঁনাকে তৃণমূল কংগ্রেস অন্ধকারে রাখছে”।