কলকাতা: রাত পোহালেই কলকাতায় পৌরভোট (Kolkata Municipal Corporation Election 2021)। শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪০ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আর তার আগে আজ রাতের শহর ঘুরে দেখলেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র (CP Soumen Mitra)। মোট পাঁচটি জায়গায় ভোটপর্বের পুলিশি প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। ডিভিশনাল ডিসি ও থানার ওসি, ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।
পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রথমেই তিনি চলে যান শ্যামবাজারের মোড়ে। সেখানকার প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। ডিসি নর্থ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন তিনি। তারপর হেদুয়া পার্ক এলাকায় পৌঁছে যান তিনি। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বললেন বড়তলা থানার ওসির সঙ্গে।
রবিবাসরীয় কলকাতায় পৌরভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। ভোটের আগের রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাই কড়া পুলিশি নজরদারি। জায়গায় জায়গায় চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। গাড়ি, বাইক থামিয়ে চলছে পরীক্ষা। বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বজবজ থেকে তারাতলার দিকে আসছিল গাড়িটি। নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়িতে অস্ত্র ধরা পড়ে।
শুক্রবারও পৌরনিগম নির্বাচনে পুলিশি প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার। কলকাতার শহরে যতগুলি ডিসি অফিস আছে প্রত্যেকটিতে তিনি নিজে উপস্থিত হন। পুলিশ প্রশাসন কতটা প্রস্তুত এবং নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তা খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার।
এদিকে রবিবার সকাল ৬ টায় শুরু হবে মক পোল। কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের জন্য ৫০০ ফোর্স বাড়ানো হচ্ছে। কিছু ফোর্স পাঠানো হবে বুথে এবং কিছু ফোর্স এলাকায় এলাকায় টহল দেবে। উল্লেখ্য, কমিশন বিশেষ নজর দিয়েছে জিউইশ গার্লস স্কুলে। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই স্কুলের একদিকে পার্ক স্ট্রিট, অন্যদিকে রয়েড স্ট্রিট।
উল্লেখ্য, পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে বার বার সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। তবে কলকাতার পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে না। রাজ্যের পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রবিবারের পৌরভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে পুলিশ প্রশাসন। আজ কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্রর এই শেষ মুহূর্তের নৈশকালীন পরিদর্শন সেই কথাটাই আবারও বুঝিয়ে দিচ্ছে।