Dinhata Municipal Elections 2022: বিজেপির মনোনয়ন ঘিরে ধুন্ধুমার দিনহাটা এসডিও অফিস চত্বরে, পুলিশের লাঠিচার্জ
Dinhata Municipal Elections 2022: তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
কোচবিহার: বামেদের মনোনয়ন ঘিরে ধুন্ধুমার দিনহাটায়। বাম প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিজেপিরও। অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে এসডিও অফিস চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
বুধবার সকালে প্রথমে বাম প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বাম প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেন। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর আসে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে ছিলেন বিধায়করা, তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই এসডিও অফিসে বিজেপি প্রার্থীরা ঢুকে যান। এরপরই অশান্তি শুরু হয় এলাকায়।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। হাতাহাতিতে গড়ায় বিষয়টি। এসডিও অফিসের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিনহাটা থানার পুলিশ। প্রথমে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। এসবের মাঝেই বিজেপি প্রার্থীরা এসডিও অফিসে ঢুকে মনোনয়ন জমা দেন।
তৃণমূলের মূলত অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে কেন বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ঢুকলেন? এর প্রতিবাদে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেখানে ভোট করাচ্ছে, রাজ্য পুলিশ যেখানে নির্বাচন করানোর দায়িত্বে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন বিজেপি প্রার্থীরা? এটা তো বেআইনি। পুলিশ এটাকে কীভাবে অনুমতি দিচ্ছে? সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে ঢুকল এসডিও অফিসে? এটা হতে পারে না।”
বিজেপি নেতা বলেন, “যিনি নাকি বলেন প্রকাশ্যে দুয়ারে প্রহার হবে, তাহলে তাঁর অনুগামীরা কী করবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। জনপ্রতিনিধি ঢুকছেন মনোনয়নপত্র জমা দিতে, আর তাঁকে বাধা দিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। প্রার্থীদের হাত থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। প্রার্থীদের স্ত্রীদের বলা হচ্ছে, তুমি বিধবা হয়ে যাবে। আর স্ত্রী প্রার্থী হলে স্বামীকে বলা হচ্ছে, তোমার বউকে ধর্ষণ করা হবে। এটা জঙ্গলরাজ।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বাম প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা