কলকাতা ও গোয়া: সৈকত-রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন হাতে গোনা আরে কয়েকদিন বাকি। কিন্তু, গোয়ায় কোনওভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ‘সদ্ভাব’ পরিলক্ষিত হয়নি। এমনকী, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সরাসরি কংগ্রেসের তুলোধনা করেছেন। পাল্টা তোপ দেগেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury)।
অভিষেকের কথায়, “কংগ্রেসকে সমর্থন করার অর্থ বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কংগ্রেসকে ভোট দিলে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বাড়বে। তাতে গোয়ায় বিজেপিকে উৎখাত করা যাবে না।” পাল্টা, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য, “আগেভাগেই হারের দায় সেরে রাখছে। জানে, যে হেরে যাবে। একা লড়ার ক্ষমতা নেই। তাই দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। এদিকে, বাংলার লুটের টাকা গোয়ায় নিয়ে গিয়ে কংগ্রেসেরই নেতাদের ভাঙিয়ে দল বাড়াচ্ছে।”
অধীরের আরও সংযোজন, “আরব সাগরের জলে যখন তৃণমূল ধুয়ে যাচ্ছে তখন দায় কংগ্রেসের ঘরে চাপাচ্ছে। আর বোঝাতে চাইছে তৃণমূল একাই পারে। তা তোমরা কেন আগে জোটের প্রস্তাব দাওনি? কেন ঘাতকের মতো কংগ্রেস ভাঙার চক্রান্ত করছ? এখন কী করবে বুঝতে না পেরে দায় কংগ্রেসের!”
প্রসঙ্গত, হাত ও ঘাসফুল শিবির একজোট হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। অ-বিজেপি শক্তিগুলির একযোগে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বন্ধুত্বের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। ফলে জোট নিয়ে সংশয় থেকেছে।
চলতি মাসেই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোট নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছিল। পি চিদম্বরম তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবকে প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানালেও পরবর্তীতে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। পি চিদম্বরম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনো দল যদি কংগ্রেসকে সমর্থন জানাতে চায় তা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। বকলমে চিদম্বরম বুঝিয়ে দেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সঙ্গে আসন বণ্টন করে ভোটযুদ্ধে নামবে না কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, আগামী মাসেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট বাক্সে নিজেদের মতামত দেবেন গোয়াবাসী। ১০ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। গোয়ায় জোট নিয়ে হাত-ঘাসফুলের জোটে কার্যত জট। শোনা যাচ্ছে, জোটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে ফোনে এসএমএস করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সে প্রসঙ্গে, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত, এ বিষয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে রাজি নয় হাত শিবির। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফেও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: Opposition Parties on School Reopening: ‘খেলা-মেলা সবই চলছে…স্কুল খুলবে না কেন?’