Opposition Parties on School Reopening: ‘খেলা-মেলা সবই চলছে…স্কুল খুলবে না কেন?’

Kolkata: বন্ধ অফলাইন ক্লাস ও পঠনপাঠন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মিটতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল সবকিছু। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউয়ের দাপটে কার্যত ফের পড়াশোনায় গতিরুদ্ধ।

Opposition Parties on School Reopening: 'খেলা-মেলা সবই চলছে...স্কুল খুলবে না কেন?'
স্কুল খোলা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 8:07 PM

কলকাতা:  করোনা আবহে (COVID19) চলছে সবই। মেলা হোক বা  অনুষ্ঠান। রেস্তোরাঁ হোক বা সিনেমা হল। শর্তসাপেক্ষে খোলা রাখার ছাড়পত্রও মিলেছে। কেবল বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। সবই যখন খুলছে তখন কেন বন্ধ স্কুল কলেজ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরাও।

প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। বন্ধ অফলাইন ক্লাস ও পঠনপাঠন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মিটতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল সবকিছু। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউয়ের দাপটে কার্যত ফের পড়াশোনায় গতিরুদ্ধ। এদিকে, অনলাইন ক্লাস করে হাঁফিয়ে উঠছে পড়ুয়ারা। এ বার স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে সওয়াল করলেন বিরোধীরাও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য, “খেলা-মেলা কিছুই তো বাদ নেই। সবই চলছে পালা করে। তাহলে স্কুল বন্ধ থাকবে কেন? কতদিন বাচ্চারা আর এভাবে ঘরে আটকা পড়ে থাকবে?”

অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “দেশের সর্বত্র নিয়ম মেনে কোভিড বিধি মেনে স্কুল খুলছে। মহারাষ্ট্রেও স্কুল খুলে  গেল। বাংলা তো সবদিক থেকেই এগিয়ে। তাই একেবারে দরজা বন্ধ করে রেখেছে! এখানে স্কুল খোলার নাম নেই।”

শুধু বিরোধীরাই নন, স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের কথায়, “প্রথম যখন করোনা এসেছিল, তখন জানা ছিল না এর মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব। এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রিত। সেক্ষেত্রে, স্কুল কলেজ বিধি মেনে খোলা যেতেই পারে।”

চিকিৎসক কুণাল সরকারের কথায়, “বাচ্চারা আর কতদিন এভাবে ঘরে আটকা থাকবে! সব কিছুই যখন চলছে, তখন স্কুল কেন বন্ধ থাকবে! কোভিড বিধি মেনে কীভাবে পঠনপাঠন শুরু করা যায়, সেদিকে বরং নজর দেওয়া উচিত।”

এদিকে, স্কুল খোলা নিয়ে হাইকোর্টে  দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। লকডাউনে (COVID 19 Lockdown) স্কুলছুট পড়ুয়াদের ফের স্কুলমুখী করার জন্য এবং স্কুল ও কলেজগুলিকে খোলার বিষয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মামলাকারীর বক্তব্য, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। অথচ শিক্ষা থেকেই কার্যত বাধ্য হয়ে বঞ্চিত অনেকে। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে পড়ুয়ারা। অথচ সেই টাকা যোগাবে কে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, ঠিক কতজন পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে, তার হিসেব কারও কাছে নেই। সরকারকে ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও মনে করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার শুনানির কথা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, এখন বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে – রাজ্যে কলেজ পড়ুয়াদের বয়স মূলত ১৮ ঊর্ধ্ব। তাঁদের জন্য টিকাকরণ পর্ব আগেই হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ১৫-১৮ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদেরও ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল – কলেজগুলি ফের যাতে খুলে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: Bikaner Guwahati Express Train Accident: ‘গাফিলতি ছিলই’, ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় স্বীকারোক্তি আলিপুরদুয়ার DRM-এর