Swastika Drawing Tips: কী ভাবে আঁকতে হয় স্বস্তিক চিহ্ন? সঠিক নিয়ম না মানলে কোন ক্ষতি হয় জানেন?
Swastika Drawing Tips: কথিত বাড়িতে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায়। সনাতন ধর্মে যে কোনও শুভ কাজের আগেই স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করতে হয়।
হিন্দু বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান বা পুজো থাকলেও প্রয়োজন পড়ে স্বস্তিক চিহ্নের। দ্বারঘট বা পুজোর আসল ঘট, সবেতেই প্রয়োজন হয় স্বস্তিক চিহ্নের। তা ছাড়া অসম্পূর্ণ প্রায় সব মঙ্গল কাজ।
কথিত বাড়িতে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায়। সনাতন ধর্মে যে কোনও শুভ কাজের আগেই স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করতে হয়। মনে করা হয়, সঠিক দিক নির্দেশনা ও সঠিক ভাবে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকলে তা ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, স্বস্তিক আঁকা অত্যন্ত শুভ। বিশ্বাস স্বস্তিক যেদিকেই আঁকা হোক না কেন, তা বাড়িতে ১০৮ গুণ অবধি ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।
এই খবরটিও পড়ুন
ঋগ্বেদে স্বস্তিকাকে সূর্যের প্রতীক মনে করা হয়। এই চিহ্ন চারটি দিক নির্দেশ করে। স্বস্তিককে মঙ্গলের প্রতীক বলে মনে করা হয়। সৌভাগ্যও আকর্ষণ করে চুম্বকের মতো। ব্যক্তির ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করলে সমস্ত শুভকাজ সিদ্ধ হয়।
স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার সময়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি মনে রাখবেন যে এটি ক্রস তৈরি করে শুরু করবেন না। অধিকাংশই পুজোর ঘটে আঁকতে গিয়ে ভুল করেন এই মঙ্গলচিহ্ন আঁকতে। তাই প্রথমে একটি প্লাস বা যুক্ত চিহ্ন তৈরি করে, তারপর এর চারপাশের দিকগুলি তৈরি করুন৷ তবে এইভাবে চিহ্ন আঁকাটাও সঠিক নয়।
সঠিক পদ্ধতি হল, প্রথমে স্বস্তিকার ডান অংশ ও তারপর বাম অংশ তৈরি করা উচিত। তাতেই শুভ স্বস্তিক চিহ্ন হবে তা শুভ ফল দেয়। এর পর এর চার হাত তৈরি করুন। বাস্তুশাস্ত্রে স্বস্তিকার গুরুত্ব রয়েছে।
বাড়ির প্রধান দরজায় কোনও ধরনের ত্রুটি থাকলে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন। তাতে বাস্তু দোষের প্রভাব কমে যায় ও ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।