পানাজি: বছরেরে শুরুতেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই যাবতীয় জল্পনা সত্যি করে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ঘোষণা করল কংগ্রেস। শনিবার, দুই দলের পক্ষেই জানানো হয়েছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয় লড়াই করতে চলেছে কংগ্রস- গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। শনিবার, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির গোয়ার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীনেশ গুণ্ডু রাও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামি বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়বে কংগ্রেস ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি।
কংগ্রেস নেতা বলেন, “কংগ্রেস ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি আগামি বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। জিপিএফ প্রধান বিজয় সরদেশাই আমাদের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছিলেন। সেখানেই তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছিলেন, সাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে নির্বাচনে পরাস্ত করতেই তারা কংগ্রেসের হাত ধরতে চান। গোয়াতে রাজনৈতিক বদল অবশ্যম্ভবী করতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। আমরা জিপিএফের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমারা নিজেদের মধ্য ছোট ছোট সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করব এবং এক নতুন সূচনা হবে।”
এর আগে ৩ বিধায়ক নিয়ে গোয়ার বিজেপি সরকারের সঙ্গেই জোটে ছিল বিজয় সরদেশাইয়ের গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। বিজয় ছিলেন গোয়া সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিজয় সরদেশাইকে সরিয়ে দেওয়ার পরই ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সরকারের ওপর থেকেও সমর্থন প্রত্যাহার করে জিএফপি। কংগ্রসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে বিজয় বলেন,”রাজ্যের মানুষকে বিজেপির অপশাসন থেকে মুক্তি দেবে এই জোট। সমভাবাপন্ন দলগুলির একত্রিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমরা গোয়াকে মুক্তি দেব ও গোয়ার সাধারণ মানুষকে ন্যায় বিচারের বন্দোবস্ত করব।”
উল্লেখ্য, একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসে(Congress) ভাঙন ধরিয়েই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গোয়া সফরের সময়ই, বিজয় সরদেশাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের জানিয়েছিলেন এবং নতুন দলে যোগ দেওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই দিল্লিতে জিএফপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ছবি পোস্ট করে দুই দলের মধ্যে জোটকে এক প্রকার নিশ্চিতই করে দিয়েছিলেন রাহুল।