Good Governance Week: নমোর ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বাধিক শাসন’ নীতিই মন্ত্র, ‘সুশাসন সপ্তাহে’ সাধারণের অভিযোগ শুনবে কেন্দ্র
Prashasan Gaon Ki Aur Campaign: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধনে গিয়ে, সফরের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেও তিনি সুশাসনের উপরই জোর দিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লি: দেশে ক্ষমতার আধিপত্য নয়, বরাবরই সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এবার কেন্দ্রের তরফেও পালন করা হবে “সুশাসন সপ্তাহ” (Good Governance Week)। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর অবধি দেশজুড়ে সুশাসন সপ্তাহ পালন করা হবে। জনসাধারণের নানাবিধ সমস্যা সরকারের কাছে তুলে ধরা এবং গ্রামের মানুষের কাছে সরকারি সুযোগ সুবিধা কীভাবে আরও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হবে গোটা সপ্তাহজুড়ে। “প্রশাসন গাঁও কি ওউর” (Prashasan Gaon Ki Aur) নামেই এই প্রচার কর্মসূচি চালানো হবে।
কর্মী প্রশিক্ষণ, পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগ, শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য প্রচার বিভাগ, বিদেশ মন্ত্রক এবং পঞ্চায়েত রাজ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ বিভাগ (DARPG) সপ্তাহব্যপী এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। মূলত গ্রামে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, সাধারণ মানুষরা কী কী সুযোগ-সুবিধা, নতুন পরিষেবা পেয়েছে, তা তুলে ধপা হবে এই কর্মসূচির মাধ্য়মে। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের দাবি-অভিযোগও সরকারের বিভিন্ন দফতর ও মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরা হবে।
বাকি অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে বিদেশ মন্ত্রকে সুশাসন সপ্তাহও রয়েছে, যেখানে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরি নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দেশবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ-অভিযোগ দূর করে, তাদের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত মানের এবং আধুনিক করে তোলা, মিশন কর্মোদ্যোগী(Mission Karmayogi)-র অধীনে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার বিশেষ ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হবে।
প্রতিটি রাজ্যে যাতে এই সপ্তাহটি সাড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়, তার জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে গোটা বিষয়ে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর সুশাসন সূচকও প্রকাশ করা হবে। আগামিকাল, সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
এর আগে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধনে গিয়ে, সফরের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেও তিনি সুশাসনের উপরই জোর দিয়েছিলেন। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যগুলিতে সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা যায়, তা নিয়েও মন্ত্রীদের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শ জানতে চান তারা।
বিজেপির তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতেও বলা হয়েছিল, “মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের প্রধান বিষয় ছিল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও উন্নতি আনতে কীভাবে সুশাসন আনা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা এই বিষয়ে উপস্থাপনাও পেশ করেছেন, তাদের রাজ্যে প্রধান জনকল্যাণ প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। রাজ্যের উন্নতির লক্ষ্যে জলবায়ুর স্থিতাবস্থা বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প, পরিবার পরিচয় কার্ড বিতরণ, প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ-আবাদে জোর, গ্রামীণ জীবনযাত্রায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আরও সংযুক্ত করা।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কোনও একটি ক্ষেত্রে নিজেদের আগ্রহ বাড়ানো ও দক্ষতা প্রমাণের পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করাই যেন প্রধান লক্ষ্য হয়।”
আরও পড়ুন: Modi on Yogi: উত্তর প্রদেশে যোগী, ‘বহুত উপযোগী’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদী