গোয়া : দ্বিতীয়বারের জন্য গোয়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ সোমবার গোয়ায় সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন তিনি। পাশাপাশি, আজ মমতা ও অভিষেকের একটি জনসভাও রয়েছে। গোয়ার নির্বাচনি আবহে মমতার এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিকে যেমন সাংগঠনিক কাজকর্ম খতিয়ে দেখবেন তিনি, পাশাপাশি জনসংযোগের লক্ষ্যে একাধিক জনসভা রয়েছে তাঁর।
গতকালই গোয়া (Goa) পৌঁছেছেন মমতা। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এ দিন দুপুর ১ টায় সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিকেল ৪ টেয় রয়েছে গোয়ায় মমতার প্রথম জনসভা। বেনাউলিমে সেই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আগামিকাল পরপর দুটি জনসভা রয়েছে মমতার। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টেয় গোয়ার পঞ্জিমে ও বিকেল ৫ টায় আসানোরায় জনসভা করবেন তিনি। মূলক গোয়ার মানুষকে বার্তা দিতেই এই জনসভা। সদ্য গোয়ার জন্য গৃহলক্ষ্মী স্কিমের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বিরোধীরা সেই স্কিম নিয়ে কটাক্ষও করেছেন। জনসভা থেকে সেই যোজনা নিয়ে মমতা মানুষকে বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২-এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনই এখন মমতার পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যেই বারবার সফর সে রাজ্যে। উপকূলের রাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিওকে দলে টেনেছেন তিনি। লিয়েন্ডার পেজের পাশাপাশি প্রখ্যাত অভিনেত্রী নাফিসা আলি ও গোয়ার উদ্যোগপতি মৃণালিনী দেশপ্রভুও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কংগ্রেস ভেঙে আরও অনেকে এগিয়ে এসেছেন মমতার হাত ধরতে। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়ার সংগঠের জন্য। আর এবার মমতা নিজে গিয়ে সংগঠন সাজাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গোয়ায় তৃণমূল ঘোষণা করেছে যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় এলে গৃহলক্ষ্মী স্কিম নিয়ে আসবে। ওই যোজনার আওতায় প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে, অর্থাৎ প্রত্যেক মহিলা বছরে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই স্কিম চালু হলে উপকৃত হবে গোয়ার সাড়ে তিন লক্ষ পরিবার। আরও জানানো হয়েছে যে এই স্কিম কার্যকর করতে হলে রাজ্য সরকারের খরচ হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা, যা রাজ্য বাজেটের ৬ থেকে ৮ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।