Municipal Elections : বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ? হাইভোল্টেজ পুরভোটের আগে তপ্ত কাঁথির রাজনীতি
TMC in Contai: জুবাইন রব জানান, "আমাকে চাপ দিয়েছিল আগে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য। কিন্তু আমি করিনি। আমি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছি। তাই আমার নির্বাচনের কাজে যারা আমাকে খুব একান্ত ভাবে সাহায্য করছে তাদের বাড়িতে গিয়ে শাসক দলের ইন্ধনে পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে।"
কাঁথি: সামনেই পুরভোট (Municipal Elections 2022)। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। রবিবাসরীয় সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিন পৌরসভার প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি পুর এলাকার বাসিন্দারা। আর এই তিন পুরসভার মধ্যে সবথেকে বেশি চর্চায় কাঁথি পুরভোট (Contai Municipality Election)। সময় যত এগোচ্ছে, তত তপ্ত হচ্ছে কাঁথির রাজনীতি। ২১ ওয়ার্ডের কাঁথি পুরসভায় শেষ হাসি কারা হাসবেন, সেই দিকেই তাঁকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল। আর এই তপ্ত ভোট আবহে ফের একবার শিরোনামে উঠে এল কাঁথি । এবার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন, কাঁথি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী। তিনি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। দলের টিকিট না পেয়ে বর্তমানে জোড়া পাতার প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়ে বিপাকে ফেলেছেন ঘাসফুল প্রার্থীকেই।
কাঁথির পূর্বাঞ্চল এলাকায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা তথা নির্দল প্রার্থী জুবাইন রব। দীর্ঘদিন তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক তাঁর পরিবার। ২০২২ সালের পুরভোটে তৃণমূলের তরফে ওই ওয়ার্ডে টিকিট পাওয়ার চরম সম্ভাবনা ছিল রব পরিবারের। কিন্তু তার বদলে দাদার অনুগামী বলে পরিচিত আলেম আলি খাঁনকে দলে যোগদান করিয়ে এই চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই প্রার্থীকে মানা হবে না বলে বেশ সুর চড়িয়েছেন পুরবাসীদের একাংশ। মন্ত্রীর বাড়ির সামনে লাগাতার অশান্তি চলে ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে। এবার সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা নির্দল প্রার্থী জুবাইন রবের সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে জুবাইন রব জানান, “আমাকে চাপ দিয়েছিল আগে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য। কিন্তু আমি করিনি। আমি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছি। তাই আমার নির্বাচনের কাজে যারা আমাকে খুব একান্ত ভাবে সাহায্য করছে তাদের বাড়িতে গিয়ে শাসক দলের ইন্ধনে পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে । গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কাঁথি থানার এক পুলিশ আধিকারিক ও চার জন সিভিক কর্মী আমার চার সমর্থকদের বাড়ি যান। হরিপুর এলাকায় তাঁদের বাড়ি গিয়ে বলা হয়, প্রত্যেকের নামে জামিন অযোগ্য মামলা রয়েছে। তারা যেন অবশ্যই কাঁথি থানায় দেখা করেন। না হলে ওদের নামের গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়ে যাবে এবং তারা গ্রেফতার হবে।” যদিও কোনওভাবে তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
সমগ্র বিষয়ে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “ওনারা হয়ত অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগ লিখিত আকারে আমার কাছে এলে নিশ্চিত রূপে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখব।” তবে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী আলেম আলি খাঁনকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের নির্বাচনী কনভেনর অখিল গিরি, তরুণ জানা, উত্তম বারিক সহ তৃণমূল নেতাদের ফোন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি বলেন, “এমন অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী বা ওনার এজেন্ট আমার নজরে আনেনি। বিষয়টি আমার কাছে জানানো হলে, নিশ্চিতরূপে ব্যবস্থা নেব।”
আরও পড়ুন : Kolkata Book Fair: বাড়ি বসেই ‘বইমেলা লাইভ’! জেনে নিন কীভাবে পাবেন বইমেলার ই-পাস