Kolkata Municipal Corporation Elections 2021: অবাধে ভোটলুঠ! প্রতিবাদে বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভে খোদ বামপ্রার্থী

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 19, 2021 | 4:49 PM

CPM protest: রবিবার দেখা যায়, বড়তলা থানার সামনে অবস্থানে বসেছেন সিপিএম প্রার্থীরা। তাঁদের অনেকেরই হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, 'ভোটের নামে প্রহসন কেন? পুরপ্রশাসন জবাব দাও'। যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।  

Kolkata Municipal Corporation Elections 2021: অবাধে ভোটলুঠ! প্রতিবাদে বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভে খোদ বামপ্রার্থী
সিপিএমের বিক্ষোভ, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা:  পুরনির্বাচনেও ব্যাপক অশান্তির অভিযোগ। শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটলুঠের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে, বড়তলা থানার সামনেই  অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বাম (CPIM) ও কংগ্রেস। থানার সামনেই পোস্টার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন খোদ ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীরা।

বামশিবিরের (CPIM) অভিযোগ,  ১৭ ও ১৮ নম্বর বুথে অবাধে ভোটলুঠ করছে তৃণমূল। সিপিএমের কোনও এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হয়নি। আরও অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারদেরও আটক করে রাখা হচ্ছে। যাঁরা ভোট দেবেন বলে লাইন দিচ্ছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বয়স্কদের ধাক্কা মেরে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী মতিলাল ঘোষের কথায়, “বুথে কোনও  পোলিং এজেন্টকে থাকতে দিচ্ছে না। প্রিসাইডিং অফিসারদেরকেও নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। নিজেদের লোক ডেকে এনে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। ১৬-সি-এর যে ফর্ম ভোটের পর ফিলাপ করার কথা ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তা এখনই করে ফেলা হয়েছে। তৃণমূলের নেতারা জোর করে এই কাজ করছে।”

১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের প্রার্থী শ্রাবণী চক্রবর্তী বলেন, “আমি আজ সকালে শুনি আমাদের কোনও এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি, বুথে গিয়ে কোনওরকমে ওদের তুলে নিয়ে আসি। একজন কর্মীর মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় এসেছি। কিন্তু, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।”

রবিবার দেখা যায়, বড়তলা থানার সামনে অবস্থানে বসেছেন সিপিএম প্রার্থীরা। তাঁদের অনেকেরই হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘ভোটের নামে প্রহসন কেন? পুরপ্রশাসন জবাব দাও’। যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী নির্বাচিত হন মোহনকুমার গুপ্ত। বিজেপির তরফে লড়ছেন পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়সওয়াল। বামেদের তরফে রয়েছেন মতিলাল ঘোষ। অন্যদিকে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে, তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সুনন্দা সরকার। বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন অনুরাধা সিং। বামেদের তরফে শ্রাবণী চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, পুরভোটের সকালে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বোমাবাজি করা হয় টাকি হাইস্কুলের সামনে। পর পর দু’টি বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এই ওয়ার্ড। সকালেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বেলা বাড়তেই সেই উত্তেজনা পৌঁছল বোমাবাজির পর্যায়ে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ডিসিইএসডি প্রিয়ব্রত রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। এই বোমাবাজির ঘটনায় একজন আহত হন। রক্তাক্ত হন তিনি।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘খুব পাকামি না, প্রথমেই টয়ট্রেন চাই!’, প্রশাসনিক বৈঠকে বেজায় চটলেন মুখ্যমন্ত্রী

Next Article