Mamata Banerjee: ‘খুব পাকামি না, প্রথমেই টয়ট্রেন চাই!’, প্রশাসনিক বৈঠকে বেজায় চটলেন মুখ্যমন্ত্রী
Murshidabad: উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে হোক বা মালদার প্রশাসনিক বৈঠক, বারবার একটা কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তার পর যেন জনপ্রতিনিধিরা আর কোনও নতুন দাবি না করেন।
মুর্শিদাবাদ: জেলা সফরে যাওয়ার পর একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, মুর্শিদাবাদে বৈঠকে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাল কাটল এক প্রশাসনিক কর্তার মন্তব্যে। চেম্বার অব কমার্সের এক সদস্য আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন মতিঝিল পর্যটন কেন্দ্রে টয়ট্রেন চালু করতে। আর এতেই কার্যত তেতে ওঠেন মমতা (Mamata Banerjee)।
চেম্বার অব কমার্সের ওই আধিকারিকের ‘আবদারের’ পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে বলে ওঠেন, “বসুন তো আপনি! কত কথা বলবেন! খালি বলেই যাচ্ছেন আর বলেই যাচ্ছেন! আর কারোর কিছু বলার নেই নাকি!” তারপর একটু থেমে বলেন, “বড্ড পাকামি না! প্রথমেই টয়ট্রেন! আপনার মাথায় টয়ট্রেন টা কে ঢোকাল শুনি! খরচ কমাতে পারছেন না! খরচ কমান। বসুন। আর কথা বলবেন না।” একরকম ধমক দিয়েই ওই আধিকারিককে এদিন চুপ করিয়ে দেন মমতা।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে হোক বা মালদার প্রশাসনিক বৈঠক, বারবার একটা কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তার পর যেন জনপ্রতিনিধিরা আর কোনও নতুন দাবি না করেন। যা পেয়েছেন তা দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেন তাঁরা। তবু তার পরেও দাবিদাওয়া, আবদার এসেছে। এদিন তাই প্রশাসনিক বৈঠকের একেবারে প্রথমভাগেই মমতা শুনিয়ে দেন কেউ যেন অন্য কোনও প্রকল্পের জন্য আলাদা করে কিছু না চান।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ইনফ্রাস্ট্রাকচার অনেক করে দেওয়া হয়েছে। এখন আর বলবেন না এই চাই, ওই চাই… কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আমার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডে খরচ হচ্ছে। কৃষক বন্ধুতে খরচ হচ্ছে। অন্যান্য অনেক প্রোগ্রামে খরচ হচ্ছে। সেই টাকাগুলো আসবে কোত্থেকে? ইনকাম তো নেই।”
তিনি যোগ করেন, করোনার জন্য বিগত দু’ বছরে সরকারের ভাঁড়ার প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বঞ্চনা করে। আমাদের টাকা ঠিক মতো দেয় না। ফলে ইনকামের জায়গাটা করতেও হবে। আমি রাস্তায় ট্যাক্স নেব না। আমি জলে ট্যাক্স নেব না। আমি পাওয়ারের দাম বাড়াব না। বিনা পয়সায় শিক্ষা দেব। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য দেব। টাকাটা তো আমায় জোগাড় করতে হবে!”
রাজ্যের ভাঁড়ারে যে টান পড়েছে সে কথা বরাবরই বলে এসেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। বুধবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে, এদিন, অনেকগুলি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি, প্রথমবারের জন্য বিড়ি শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে আলাদা হাসপাতাল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on Landslide in Ganges: ‘গঙ্গার ধারে বাড়ি করা বন্ধ করুন, নয়ত সব ধসে পড়বে’