KMC Election 2021: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ বিজেপির, ফের মামলা
Kolkata Municipal Election 2021: সিঙ্গল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলে দেয় কেন কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।
কলকাতা: পুরভোটে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের উপরই ভরসা রেখেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছে, রাজ্য পুলিশেই পুরভোট হবে। এবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির কাছে গেল বিজেপি।
বিজেপির বক্তব্য, ভোটারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। বিধানসভা ভোটের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় পাঁচ হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। এই মর্মেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করার জন্য এদিন অনুমতি চায় বিজেপি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মামলা করার অনুমতিও দেন। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত।
অনড় বিজেপি
সিঙ্গল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলে দেয় কেন কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র চারজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এটা নয় বলেই যখন মত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের। তখন নতুন করে ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপির যাওয়া নিঃসন্দেহে বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে কতটা মরিয়া তারা। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত।
কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী, আদালতে কী বলছে বিজেপি
কেন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হচ্ছে, তার স্বপক্ষে বিজেপির যুক্তি বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরও হিংসার শিকার হয়েছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে পুরভোটেও তেমনটা হবে না, কেউ নিশ্চিত করতে পারে না। তাই এই সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একমাত্র ভরসার জায়গা কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রায় ৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল। বিজেপির বক্তব্য, ‘ভোটারদের সুরক্ষার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। বিধানসভা ভোটের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৫ হাজার অভিযোগ জমা পরে।’
কী বলেছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে মামলার শুনানি চলাকালীন বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, তিনটি অভিযোগ অনেকটা একই বক্তব্যে লেখা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কাজ করেনি, এক্ষেত্রে সেটা মনে হচ্ছে না। ভোটের আগের দিন কোনও প্রার্থীর তরফে এরকম অভিযোগ পেলে তাদের নিরাপত্তা নির্দিষ্ট করতে হবে। এজির আশ্বাসই যথেষ্ট। যেহেতু কমিশন এক্ষেত্রে মনে করছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে। তাই আপাতত বাহিনীর দাবি খারিজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কমিশন এক্ষেত্রে ভোটার তালিকা আরেকবার দেখবে ভুয়ো ভোটার আছে কি না।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের উপরই ভরসা রেখেছে
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গত সোমবার সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাক তারা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্টের কাছে বিষয়টি আপনারা জানান।’ বিজেপির হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন কৌঁসুলি মনিন্দর সিং। তাঁকে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভইয়ের বেঞ্চ জানায়, “আমরা সম্পূর্ণ সম্মানের সঙ্গেই জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। হাইকোর্ট এই পরিস্থিতি বোঝার জন্য আরও বেশি ভাল জায়গা।”