বহরমপুর- অধীর গড় হিসাবেই পরিচিত। এবার জোড়া হাতের মাঝে কমল ফোটাতে বদ্ধপরিকর পদ্মশিবির। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা— বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, রানিনগর, বেলডাঙা, নওদা এবং বহরমপুর। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দ্বিমুখী লড়াই হয়েছিল। এবার জোর টেক্কা বিজেপিরও। অধীরের ল্যান্ড স্লাইড সাফল্য ২০০৯ সাল কিংবা তারও আগে থেকে বহরমপুর কংগ্রেসেরই গড় হিসাবে পরিচিত। ২০০৯ সালে অধীর চৌধুরী প্রায় ৪৬ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৫লক্ষ ৪১ হাজার ১৯২০ ভোট। ২০০৯ সালে অধীর চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছিলেন আরএসপি প্রমোথেস মুখোপাধ্যায়। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৪৩টি ভোট। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২ শতাংশ ভোট। তৃণমূলের কিন্তু সেসময়ে খড়কুটোও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের উত্থান ২০১৪ সাল। মাঝে গড়িয়ে গিয়েছে পাঁচটা বছর। অধীর চৌধুরীর বিপক্ষে লড়ার জন্য বিশিষ্ট গায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করায় তৃণমূল। ভাল টেক্কা দিয়েছিল তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। কিন্তু নিজের গড় সেবারও অক্ষুণ্ণ রাখেন অধীর। সেবার তৃণমূল পেয়েছিল প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট, ইন্দ্রনীল সেনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ২লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮২ জন বহরমপুরবাসী। কিন্তু অধীর-ম্যাজিক টেনেছিল ৪০ শতাংশ জনতার সমর্থন। পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৪৯টি ভোট। কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বিমুখী লড়াই ২০১৯ সাল। মাঝের পাঁচটা বছরে ভাল করে বহরমপুরের মাটি বুঝেছিল তৃণমূল। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট কুড়িয়ে নেয় তৃণমূল। তবে সেবার অপূর্ব সরকারকে অধীরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল। তিনি পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৪১০ ভোট। তৃণমূল কংগ্রেসকে জোর টক্কর দিয়েছিল। কংগ্রেসের থেকে ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৬ শতাংশের মতো। অধীর চৌধুরী পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ১০৬টি ভোট। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দ্বিমুখী লড়াই হয়েছিল। আরএসপি প্রার্থী দিলেও বামফ্রন্টগত ভাবে লড়াইয়ে নামতে দেখা যায়নি। অধীরই জিতেছিলেন। এবার লড়াইয়ে বিজেপিও। গত বিধানসভা ভোটই তার জানান দিয়েছে। কারণ দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। এই ফলের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভায় এই আসনের লড়াই অত্যন্ত জমে উঠেছে।