লোকসভা কেন্দ্র তমলুক এবার কার তালুক? বর্তমান রাজনীতির অন্দরে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। পশ্চিম বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম কেন্দ্র তমলুক লোকসভা।পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রটি এবার সবার নজরে থাকবে। এটা বর্তমানে অধিকারদের গড় বলেই পরিচিত। বর্ত মানে এখানকার সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আসন দখল রেখেছে রাজ্যের শাসকদল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৯ সাল থেকে এখানে ঘাস ফুল। এবার কি তালুক বদল হবে? ঘাস সরিয়ে ফুটবে পদ্ম ফুল? তেমন সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে। যদিও এখনও ২০২৪ লোকসভা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম। এছাড়া অন্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে, হলদিয়া, তমলুক, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, পাঁশকুড়া পূর্ব। গত বিধানসভায় ৭ আসনের মধ্যে নন্দীগ্রাম, ময়না ও হলদিয়া বিজেপির দখলে। লাল দুর্গের পতন ১৯৫২ সাল থেকে ৭৭ সাল পর্যন্ত পর পর ৫ বার জিতেছিলেন জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রার্থী সতীশ চন্দ্র সামন্ত। তাঁর এই রেকর্ড আজও অক্ষুণ্ণ। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রটি বামেদের দখলে ছিল। সাংসদ ছিলেন সিপিএম এর লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁকে পরাজিত করে তৃণমূলের সাংসদ হন রাজ্যের আজকের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন সাংসদ তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর তমলুকেও গেরুয়া বাতাস প্রবল হয়েছে। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট ২০০৯ সালে সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে প্রথম লালগঢ়ে সবুজ পতাকা তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পেয়েছিলেন ৬,৩৭,৬৬৪ ভোট। লক্ষ্মণ শেঠ পেয়েছিলেন ৪,৬৪,৭০৬টি ভোট। বিজেপির রাজ্যশ্রী চৌধুরী পেয়েছিলেন মাত্র ২০,৫৭৩ ভোট। আর কংগ্রেসের জাহেদ শেক পেয়েছিলেন ৮,৪৮৬টি ভোট ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট ২০০৯ সালের পর ২০১৪ সালেও তৃণমূলের টিকিটে বিপুল ভোটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পেয়েছিলেন ৭,১৬,৯২৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিআই(এম)-এর শেখ ইব্রাহিম আমি। তিনি পেয়েছিলেন ৪,৭০,৪৪৭ ভোট। বিজেপির বাদশা আলম পেয়েছিলেন ৮৬,২৬৫ এবং কংগ্রেসের শেখ আনোয়ার আলি পেয়েছিলেন মাত্র ২৯,৬৪৫ ভোট। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট ২০১৯ সালে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সিদ্ধার্থ শঙ্কর নস্করকে বড় মার্জিনে পরাজিত করেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি পেয়েছিলেন ৭,২৪,৪৩৩ ভোট। সিদ্ধার্থ শঙ্কর পেয়েছিলেন ১,৯০,১৬৫ ভোট। তৃতীয় স্থানে নেমে আসেন সিপিআইএমের শেখ ইব্রাহিম আলি। তিনি পান ১,৩৬,১২৯টি ভোট। আর কংগ্রেসের লক্ষ্মণ চন্দ্র শেঠ পেয়েছিলেন ১৬,০০১টি ভোট।