Dilip Ghosh on Election Result: তৃণমূলকে বোকা বানিয়েছে এমজিপি! ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ
Dilip Ghosh on Election Result: অখিলেশের হয়ে উত্তর প্রদেশে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই প্রসঙ্গ তুলেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিম মেদিনীপুর : গোয়ায় মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট তৈরি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, বিজেপির হাত ধরছে সেই দল। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা, আদতে তৃণমূলের হাত ধরে তৃণমূলকেই বোকা বানিয়েছে এমজিপি। জোটে লড়াই করে আদতে বিজেপির জয় আরও সহজ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে বিজেপি সাংসদ মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বভারতীয় নেত্রী হয়ে ওঠার দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে।
বাংলার পর ভিনরাজ্য হিসেবে গোয়াতেই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে লড়াই না করলেও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের প্রচারে দু বার সে রাজ্যে গিয়েছেন মমতা। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই মমতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন দিলীপ। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নিজের বাংলো থেকে বেরোনোর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল একটা খাতাও খুলতে পারল না। আর তাদের যে জোটসঙ্গী তারা দ্বিতীয় স্থানেও নেই।
গোয়ায় নির্বাচন-পূর্ব জোট তৈরি করেছিল, এমজিপি ও তৃণমূল। তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। তিনটি আসন পেয়েছে এমজিপি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর বিজেপিকে সমর্থন করার বার্তা দিয়েছে মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এরা জানে না। এদেরকে বোকা বানানো হয়েছে।’ তাঁর মতে, এমজিপি বিজেপির পুরনো সঙ্গী। গতবারে সরকারেও ছিল তারা। তাই আদতে তাদের সঙ্গে জোট করায় বিজেপির সুবিধা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। দিলীপের মতে, একা লড়লে কয়েকটা আসন পেতেও পারত তৃণমূল।
এ দিকে, উত্তর প্রদেশে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আরও একবার ক্ষমতায় আসছে যোগী সরকার। সেই সাফল্যের উল্লেখ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অখিলেশ জিতবেন আর মমতা সর্বভারতীয় নেত্রী হয়ে যাবেন, তা আর হল না। সব জায়গায় ধোকা খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলেছেন, লোক মজা পেয়েছিল খুব।’ মমতার জন্য ভগবান সব জায়গায় দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ।
ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনেও খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। আর এবার গোয়াতেও একই ফল। বিজেপি নেতার দাবি, এ ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত, হিংসাপরায়ণ দলকে সারা দেশের লোক চিনে গিয়েছে। কেউ একটু জায়গা দিতে চায় না।