Manipur Election: সরকারি নির্দেশিকায় সাড়া, নির্বাচনের আগে মণিপুরে জমা পড়ল ৮ হাজার ৬০০ টি আগ্নেয়াস্ত্র
Manipur Assembly Election 2022: শেষ একমাসে মণিপুর জুড়ে একের পর এক আক্রমণে আঘাতের ঘটনা সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকের দেহেই গুলির লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ভোটের মরসুমে যখন রাজ্যে বিভিন্ন অংশ রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করছে, তখন এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
ইম্ফল: বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখান্ড, গোয়া, পঞ্জাব ও মণিপুরের ভোটাররা নিজেদের নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করবেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এবারের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই মুহূর্তে ৬০ আসনের মনিপুর বিধানসভায় বিজেপির ২৭ জন বিধায়ক রয়েছে। ইতিমধ্যে পড়শি নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হওয়া সেই প্রভাবও মণিপুরের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র জমা পড়ল মণিপুরে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ৬৪৮ টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা পড়েছে।
কেন অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ?
মণিপুর প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ২৫ হাজার ৩০০ টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, সেইসব অস্ত্র ব্যবহারকারীরা ভোট পূর্ববর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে নিকটবর্তী থানায় সেই অস্ত্রগুলি জমা দেবেন। মণিপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৬ জেলার জেলা শাসকরা পৃথকভাবে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সরকারি নিদর্দেশিকার প্রসঙ্গ টেনে ওই আধিকারিক বলেন, “যার তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করবেন না, তবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করার অভিযোগে ১৯৫৯ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অতীতে হিংসার ইতিহাস
শেষ একমাসে মণিপুর জুড়ে একের পর এক আক্রমণে আঘাতের ঘটনা সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকের দেহেই গুলির লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ভোটের মরসুমে যখন রাজ্যে বিভিন্ন অংশ রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করছে, তখন এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে। অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা সম্প্রতি ইম্ফল পূর্ব জেলায় দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। যদিও উভয় বিস্ফোরণ খুব সকালে ঘটেছিল বলে কেউ আহত হয়নি।
এই ধরনের ঘটনার পর ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলস সহ নিরাপত্তা বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছিল। নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখ, মায়ানমার সীমান্তবর্তী চুরাচাঁদপুর জেলায় আসাম রাইফেলসের কর্নেল বিপ্লভ ত্রিপাঠি এবং আধা-সামরিক বাহিনীর চার জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কর্ণেল ত্রিপাঠির স্ত্রী ও তাঁর ৯ বছরের ছেলেকেও হত্যা করেছিল দুষ্কৃতিরা।
আরও পড়ুন Mukul Roy: কোনওদিন তৃণমূলে যোগই দেননি! মুকুল রায়ের দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে সওয়াল আইনজীবীর