Municipal Elections 2022: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘গালাগালি’, সেই রামনামেই ‘ভূত’ তাড়াতে তৎপর সুকান্ত!
Sukanta Majumder: বৃহস্পতিবার, বনগাঁ চাকদা রোডের বনবিহারী কলোনি থেকে রোড শো করে রেল বাজার এলাকায় বনগাঁ পৌর এলাকার বিজেপির ২২ জন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন সুকান্ত
উত্তর ২৪ পরগনা: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মতুয়া গড়ে পুরনির্বাচন। তার আগে দলীয় প্রচারে এসে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বৃহস্পতিবার, বনগাঁ চাকদা রোডের বনবিহারী কলোনি থেকে রোড শো করে রেল বাজার এলাকায় বনগাঁ পৌর এলাকার বিজেপির ২২ জন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন সুকান্ত। সভায় সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকেও আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। বলেন, রামনামেই বাংলার ভূত ছাড়বে। পাশাপাশি, বনগাঁয় তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি প্রতি ওয়ার্ডে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির কথায়, “মুখ্য়মন্ত্রীর সামনে তো রাম নাম করা যায় না! তিনি রাম নামকে গালাগালি বলে মনে করেন। তাঁর সামনে কেউ রামনাম করলে তিনি তেড়ে গিয়ে মারতে যান। গাড়িতে থাকলে গাড়ি থেকে নেমে আসেন! কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের রামনামেরই দরকার। বাংলা থেকে ভূতগুলোকে তাড়াতে হবে। সন্ত্রাসের ভূত, বেকারত্বের ভূত, তোলাবাজির ভূত।”
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন আবহে দেখা গিয়েছিল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানে ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় মঞ্চ ছেড়েছিলেন মমতা। এমনকী, তিনি প্রচারে বেরলে তাঁর গাড়ি ঘিরেও বেশ কয়েকজন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতেই গাড়ি থেকে সটান নেমে আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তখনই বিক্ষোভকারীরা পিছু হঠে যায়। সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াও।
পাল্টা, তৃণমূল সুপ্রিমো বারবারই দাবি করেছেন, কেবল রাম নাম করে গেরুয়া শিবির আসলে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করেছে বিজেপি। কিন্তু, বাংলা বরাবর ‘সর্বধর্মসমন্বয়ের’ রাজ্য বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর জনসভাতেও বার বার একই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রচারসভা থেকেই তিনি আরও বলেন, “আমি খবর নিয়ে জেনেছি, এই বনগাঁয় প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল অস্ত্র জমা করে রেখেছে। সমস্ত তোলাবাজি বন্ধ হবে। ঘরে ঘরে এ বার সিবিআই যাবে। গরুচোর, কয়লাচোরদের ধরে আনবে। তখন দেখব, কীভাবে তোলাবাজি চলে!”
বস্তুত, এর আগে বিভিন্ন সময়ে শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছে বিরোধী শিবির। কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের উচ্চস্তরীয় নেতৃত্ব জড়িত এমন অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। তবে, নির্বাচনে বিজেপির জন্য একটা বড়ো মার্জিনের ভোট মতুয়াদের থেকে প্রাপ্ত হয়। ফলে, সেখানে নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে বিজেপি যে সচেষ্ট হবে সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Shamik Bhattacharya on CAA Controversy: ‘২০২৪-এর আগেই রাজ্যে CAA চালু হবে’