কলকাতা : শুক্রবার ১০৮ টি পৌরসভার ভোটে (Municipal Elections 2022) তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। টায়ার জ্বলছে, প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে মহেশতলা এলাকাতেও। মহেশতলার (Maheshtala) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর রোডে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সমর্থকরা সন্তোষপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। উল্লেখ্য, এবারের পুর নির্বাচনে মহেশতলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের থেকে সুমন রায়চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরাতে হবে। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে বলে জানা গিয়েছে।
অবরোধকারীদের একাংশের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী হওয়া সুমন রায়চৌধুরী প্রশাসনকে ব্যবহার করে লোককে মার খাওয়াচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের একজনের কোমরে কালসিঁটেও পড়ে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ” আমরা সাধারণ কর্মী, আজ আমাদের মার খেতে হচ্ছে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন মহিলারাও। এক মহিলার হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ” ৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ডুবিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে ডোবাতে দেব না।” সেই সঙ্গে স্লোগান উঠতে থাকে প্রার্থী সুমন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধেও।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করারও অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে বিদায়ি কাউন্সিলর রীণা দাস বলেন, “আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম না। আমাদের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য কেউ প্রার্থী হলে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সুমন রায়চৌধুরীকে এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। তার নিজের ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ঝাঁটা জুতো দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। সে এসে আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হচ্ছে। এটা আমাদের দল মেনে নিতে পারছে না।”
তবে এবার তাঁকে কেন প্রার্থী করা হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কেন প্রার্থী করা হল না, তা আমি জানি না। কিন্তু বিগত সাত বছর যেভাবে পরিষেবা দেওয়ার – দিয়েছি। আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, এমপি ভোটে, এমএলএ ভোটে – যাঁরা ভালভাবে লড়াই দিতে পারবে – আমি তিন হাজার, আড়াই হাজার ভোটে জিতিয়েছি আমার এলাকা থেকে। সারাক্ষণ একনিষ্ঠভাবে দল করে গিয়েছে। কিন্তু আজ আমাকে দেওয়া হল না।”
এর পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশ কেন লাঠিচার্জ করল, সেই প্রশ্ন তুলে বলেন, ” আমি পুলিশের কাছে হাত জোর করে বললাম, আমার ছেলেদের আমি দেখছি। আপনারা কিছু করবেন না। তারপরেও কেন লাঠিচার্জ করা হল!”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা : শুক্রবার ১০৮ টি পৌরসভার ভোটে (Municipal Elections 2022) তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। টায়ার জ্বলছে, প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে মহেশতলা এলাকাতেও। মহেশতলার (Maheshtala) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর রোডে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সমর্থকরা সন্তোষপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। উল্লেখ্য, এবারের পুর নির্বাচনে মহেশতলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের থেকে সুমন রায়চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরাতে হবে। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে বলে জানা গিয়েছে।
অবরোধকারীদের একাংশের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী হওয়া সুমন রায়চৌধুরী প্রশাসনকে ব্যবহার করে লোককে মার খাওয়াচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের একজনের কোমরে কালসিঁটেও পড়ে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ” আমরা সাধারণ কর্মী, আজ আমাদের মার খেতে হচ্ছে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন মহিলারাও। এক মহিলার হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ” ৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ডুবিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে ডোবাতে দেব না।” সেই সঙ্গে স্লোগান উঠতে থাকে প্রার্থী সুমন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধেও।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করারও অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে বিদায়ি কাউন্সিলর রীণা দাস বলেন, “আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম না। আমাদের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য কেউ প্রার্থী হলে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সুমন রায়চৌধুরীকে এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। তার নিজের ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ঝাঁটা জুতো দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। সে এসে আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হচ্ছে। এটা আমাদের দল মেনে নিতে পারছে না।”
তবে এবার তাঁকে কেন প্রার্থী করা হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কেন প্রার্থী করা হল না, তা আমি জানি না। কিন্তু বিগত সাত বছর যেভাবে পরিষেবা দেওয়ার – দিয়েছি। আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, এমপি ভোটে, এমএলএ ভোটে – যাঁরা ভালভাবে লড়াই দিতে পারবে – আমি তিন হাজার, আড়াই হাজার ভোটে জিতিয়েছি আমার এলাকা থেকে। সারাক্ষণ একনিষ্ঠভাবে দল করে গিয়েছে। কিন্তু আজ আমাকে দেওয়া হল না।”
এর পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশ কেন লাঠিচার্জ করল, সেই প্রশ্ন তুলে বলেন, ” আমি পুলিশের কাছে হাত জোর করে বললাম, আমার ছেলেদের আমি দেখছি। আপনারা কিছু করবেন না। তারপরেও কেন লাঠিচার্জ করা হল!”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা