কলকাতা: সিপিএম প্রার্থীকে বুথের কাছে যেতে ‘বাধা’। সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে বুথমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সিপিএম প্রার্থী। কিন্তু পথ আটকায় তৃণমূল। সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের হাতাহাতির ছবি করার কারণেই আক্রান্ত TV9 বাংলার সাংবাদিক। ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ। মাটিতে ফেলে চিত্র সাংবাদিক দীপঙ্কর জানার বুকে-পেটে বেপরোয়া লাথি-কিল-ঘুষি মারলেন মুখে মাস্ক-আবৃত তৃণমূলের জনা পঁচিশেক পুরুষ-মহিলা। TV9 বাংলারই অন্য ক্যামেরায় ধরা থাকল সেই ছবি। উত্তর দমদমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
উত্তর দমদমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শিবশঙ্কর ঘোষ সকাল থেকেই অভিযোগ করছিলেন, ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। আলিপুর মোড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সিপিএম কর্মীদের ধাওয়া করেছেন বলে অভিযোগ। সে সময় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আবারও সিপিএমের প্রার্থী, এজেন্টরা বুথমুখী হওয়ার চেষ্টা করেন। আলিপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবের সামনে তৈরি হয়েছে নির্বাচনী বুথ। সে দিকেই সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এগোচ্ছিলেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। সঙ্গে ছিলেন প্রার্থীও। সেখানে মুখে মাস্ক পরা একাধিক ব্যক্তি ও সালোয়ার কামিজ পরা এক মহিলা পথ আটকান। প্রথমে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। সেই ছবি লাইভ দেখাচ্ছিল TV9 বাংলা। সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতির ছবি লাইভ দেখানোর সময়েই চিত্র সাংবাদিক দীপঙ্কর জানার ওপর হামলা চালান কয়েকজন দুষ্কৃতী। মাটিতে ফেলে কয়েকজন ২০-২৫ জন দীপঙ্কর জানার ওপর হামলা চালান। লাথি, ঘুষি মারতে থাকেন। ক্যামেরাও ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রত্যেকেই মুখই মাস্কে ঢাকা। যে কয়েকজন মহিলা ছিলেন, তাঁরা সালোয়ার কামিজের ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকেন।
আক্রান্ত চিত্র সাংবাদিক দীপঙ্কর জানা বলেন, “অনেক জন বুকে পেটে লাথি মেরেছে। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মাথাতেও পিছন থেকে মারে ওরা। ওদের এতবার বলেছিলাম, মারছো তো, কিন্তু ক্যামেরাটা ভেঙো না। অনেক টাকা দাম। কিন্তু ক্যামেরাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিল। রিসিভারটাও পারছি না। পেটে অসহ্য পেটে করছে।” আপাতত চিকিৎসাধীন চিত্র সাংবাদিক দীপঙ্কর জানা।
আরও পড়ুন: Municipal Elections 2022: বাইক বাহিনীর তাণ্ডব! ভোটের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পোলিং বুথ