নয়া দিল্লি: ১০ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় বা প্রিকশন ডোজ় (Precaution dose of COVID 19) দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর এই প্রক্রিয়ায়, পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে ভোটকর্মীদের (Personnel deployed in election duty) পাঠানো হবে, তাদের মধ্যেও যাঁরা যোগ্য অর্থাৎ, টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পর ৯ মাস হয়ে গিয়েছে, তাঁরাও প্রিকশন ডোজ় পাবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদেরও ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার’ (Frontline workers) হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কয়েক মাস পরেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, পঞ্জাব এবং মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন হবে কি না, তা ঘিরে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও ভোটমুখী রাজ্যগুলিকে টিকাকরণে গতি আনার যে নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক দিয়েছে, তা থেকে অনুমান করা যায়, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই হবে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার’ (FLWs) বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে তাঁরাও করোনা ভ্যাকসিনের প্রিকশন ডোজ় পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Union Health Secretary Rajesh Bhushan) সোমবার কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিল উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর, উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবের প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, এই পাঁচ রাজ্যেই আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বৈঠকে কনটেনমন্টে জ়োন (Containment zone), করোনা পরিস্থিতি (COVID Situation) মোকাবিলা এবং রাজ্যগুলির করোনা টিকাকরণ পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তরফে ভোটমুখী রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, যাঁরা প্রথম ডোজ় পাওয়ার যোগ্য, অথচ এখনও টিকা পাননি, তাঁদের দ্রুত করোনা টিকার প্রথম ডোজ় দিতে হবে। সেই সঙ্গে যাঁদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় বাকি রয়েছে, তাঁরা যাতে দ্বিতীয় ডোজ় পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের জেলা ভিত্তিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য এবং একটি করো জেলাওয়াড়ি সাপ্তাহিক পরিকল্পনা তৈরি রাখার জন্য।