কলকাতা: রাজ্যে যেভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে আদৌ ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোটপ্রক্রিয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়নি। তবে বিজেপি এ ব্যাপারে বল ঠেলেছে সরকারের কোর্টেই। শুক্রবার চন্দননগর, বিধাননগর ও আসানসোলের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি। সেখানে দলীয় নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখানে রাজ্য সরকারই সব। তাদের সিদ্ধান্তই সিদ্ধান্ত।’
এদিন সাংবাদিকরা জানতে চান, যে হারে করোনা বাড়ছে তাতে ভোট নিয়ে নতুন করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কি কিছু ভাবনাচিন্তা করছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কি চিঠি দেবে তারা? প্রত্যুত্তরে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এখানে রাজ্য সরকারই সবকিছু। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে আলাদা কিছু নেই। কিন্তু আমরা যেহেতু রাজনৈতিক দল আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছি। সে কারণেই আমরা মাঝে মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যাই।” তিনি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের ‘ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশনের’ মত কাজ করছে। অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তবে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার সরকারই নেবে।
এ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “আমরা তো একসঙ্গে নির্বাচনও চেয়েছিলাম। একসঙ্গে ফল ঘোষণাও চেয়েছিলাম। আমরা এই দাবি নিয়ে তো আদালতেও গিয়েছি। আমাদের সাধ্যমতো আমরা সবটাই চেষ্টা করেছি। আমরা বহু জায়গায় অবস্থানও করেছি। আমরা মনে করি যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে এটা একটা দখলদারির নির্বাচন হচ্ছে, স্বেচ্ছাচারিতার ভোট হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার নির্বাচন হচ্ছে।”
“হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট যে হল না, এর জন্য সম্পূর্ণভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। কারণ তখন করোনা ছিল না, অন্য কোনও বাধ্যবাধকতাও ছিল না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে, নিজেদের রাজনৈতিক রসায়ন ঠিক রাখার জন্য আজ হাওড়ার মানুষকে বঞ্চিত করা হল। কলকাতা, বিধাননগরে ভোট হচ্ছে, হাওড়ার পাশে চন্দননগরে ভোট হচ্ছে কিন্তু হাওড়াতেই হল না। এসব তৃণমূলের একচেটিয়া একাধিপত্য ছাড়া আর কিছু না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলন করে আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগরের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং। শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল। শনিবার ১ জানুয়ারি। ৩ তারিখে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিজেপি প্রার্থীদের হাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সময় কিছুটা কম হয়ে গেল না? এ প্রশ্নের জবাব শমীকের প্রতিক্রিয়া, “যথেষ্ট সময় আছে। আমাদের প্রার্থীরা প্রস্তুত, সংগঠন প্রস্তুত। আমাদের দলে এই সাংগঠনিক শক্তি আছে।”
আরও পড়ুন: Covid Update: সংক্রমণের লম্ফঝম্প! আজ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার পার, কলকাতাতেই ২ হাজার ছুঁই ছুঁই