Covid Update: সংক্রমণের লম্ফঝম্প! আজ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার পার, কলকাতাতেই ২ হাজার ছুঁই ছুঁই
Corona update: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫১।
কলকাতা: একদিন টপকে আরেকদিন সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি করছে বাংলা। বছর শেষের বুলেটিনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। বুধবার হাজার পার করেছিল এ রাজ্যের সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার ২ হাজার পার করে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার ফের লাফ! ফের আরও এক হাজার পার। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার পার করল। মৃত সাত। বেড়েছে পজিটিভি রেটও।
২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫১। এর মধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। বাকি জেলাগুলি থেকে দৈনিক সংক্রমণে এই মুহূর্তে অনেকটাই এগিয়ে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৮১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৪৬ শতাংশে।
তবে শুধু কলকাতা নয়, স্বাস্থ্য দফতরের মাথা ব্যাথা সেই সব জেলা নিয়েও যেখানে খুব নীরবে ঢুকে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে সংক্রমণ। এক্ষেত্রে হাওড়া নিয়ে চিন্তায় তারা। কলকাতার পর দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও উত্তর ২৪ পরগনা এগিয়ে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু হাওড়া নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের একটা আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে আচমকাই সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই জেলার পজিটিভিটি রেট।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তো বটেই, পশ্চিম বর্ধমান নিয়েও স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষ নজরে রয়েছে। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, বীরভূমে নমুনা পরীক্ষা সেরকম হচ্ছে না বলেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রিপোর্ট আছে বলে সূত্রের দাবি। কারণ, এখানে সরকারি পরিকাঠামোর উপরই নমুনা পরীক্ষা মূলত নির্ভরশীল। নমুনা পরীক্ষা বাড়লে এই জেলাগুলিতেও সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী যে জেলাগুলি রয়েছে সেগুলি নিয়েও চিন্তা রয়েছে। তা ছাড়া অন্য রাজ্যের সীমানায় যে সব জেলা, সেখানেও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ নজর রয়েছে।
কলকাতার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার পুরসভায় এক বৈঠক হয়। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও। প্রাথমিক ভাবে শহরের ১১ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বৈঠকে, যেখানে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত দৈনিক সংক্রমণ ও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কলকাতার কোন কোন ওয়ার্ডে বা বোরোতে করোনা সংক্রমণ বেশি, তা নিয়ে আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে।