নয়া দিল্লি: আবারও কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। নিজের ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে করা একটি পোস্টের জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শিখ সম্প্রদায়কে তিনি খালিস্তানি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এবং সেই কারণেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) তাদের মশার মত পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন বলে দাবি কঙ্গনার।
কঙ্গনার এই মন্তব্যের জন্য পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলের নেতা মঞ্জিন্দর সিং সির্সা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দিল্লি শিখ গুরদ্বার পরিচালন কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে ও ইচ্ছাকৃতভাবে এই মন্তব্য করেছে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কঙ্গনা লেখেন “বর্তমানে খালিস্তনি জঙ্গিরা সরকারকে বিব্রত করছে। একজন মহিলাকে আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী এদের নিজের জুতোর নিচে পিষে দিয়েছিলেন। এদেরকে মশার মত পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন তিনি, এর পরিবর্তে তিনি নিজের প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু দেশকে ভাগ হয়ে দেননি। আজও এই জঙ্গিরা ওনার নাম শুনলে ভয়ে কেঁপে ওঠে।”
এরপরেই ইন্দিরা গান্ধীর একটি ছবি দিয়ে কঙ্গনা লেখেন, “খালিস্তানিদের উত্থান এবং সেই নিয়ে ইন্দিরার পদক্ষেপের কাহিনী খুব দ্রুতই সামনে আসবে।” দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি ‘ইমারজেন্সি’ নামক ছবিতে কাজ করছেন কঙ্গনা। সেখানে ১৯৮৪ সালের অপারেশন ‘ব্লু ষ্টার’ এর ঘটনাও দেখানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাবার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিরোনামে এসেছেন আইন বলিউড অভিনেত্রী। কদিন আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তিনি বলেছিলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) ও ভগৎ সিং (Bhagat Singh) গান্ধীজির থেকে কোনও সমর্থন পাননি। অহিংসার মাধ্যমে স্বাধীনতা আদায়ের বিষয়টি আদতে ভুয়ো ছিল। সেটা আসলে স্বাধীনতার নামে ভিক্ষা।” এই ‘ভিক্ষা’ শব্দটি নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। কয়েকদিন আগেও তাঁর ব্যবহার করা এই ‘ভিক্ষা’ শব্দটি নিয়ে আরেকবার বিতর্ক দেখা দিয়ছিল। তিনি বলেছিলেন, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে। এর আগে পাওয়া স্বাধীনতা আদতে ভিক্ষা।”
নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও মহাত্মা গান্ধীকে (Mahatma Gandhi) নিশানা করেছিলেন কঙ্গনা। কদিন আগেই তিনি বলেছিলেন ‘নিজের নায়ক নির্বাচনের আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজনীয়।’ তিনি আরও বলেছিলেন নেতাজিকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ বিচারপতির সঙ্গে আলোচনায় গান্ধীজি, জওহরলাল নেহেরু ও মহম্মদ আলি জিন্নাহ একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাঁরা নেতাজিকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেবে। তিনি বলেন,”হয় আপনি নেতাজির ভক্ত নয় গান্ধীজির ভক্ত। একসঙ্গে দুজনের ভক্ত হওয়া সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন Attack on TMC in Tripura: ত্রিপুরায় চড়ছে ভোটের পারদ! ‘বাবুলকে হেনস্থা’, কলকাতায় ফিরে বললেন ফিরহাদ