নয়া দিল্লি : রাত পোহালেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। নির্বাচনের আগের দিন একটি ভিডিয়োকে ঘিরে অরবিন্দ কেজরীবাল এবং আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ করেছে যে, সেই ভিডিয়ো নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করে এবং পঞ্জাবের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মিথ্যে এবং ভুল অভিযোগ করে। আগামীকাল পঞ্জাবের জনগণ নতুন সরকারের নির্বাচনের জন্য ভোটবাক্সে নিজেদের মতামত দেবেন। তার আগে এই ঘটনা পঞ্জাবের ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
পঞ্জাবের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, “এটি জমা দেওয়া হয়েছে যে পঞ্জাব রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়েছে। এই আবহে কোনও দল ইন্টারনেটে প্রচলিত কোনও হ্যান্ডেলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নেতাকে লক্ষ্য করে কোনও আপত্তিকর ভিডিয়ো আপলোড করতে পারে না।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন আকালি দলের সহ-সভাপতি আরশদীপ সিং। তিনি অরবিন্দা কেজরীবালের শেয়ার করা ভিডিয়োটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। আকালি দল অভিযোগ করেছে, “ভিডিয়োটি সাধারণ মানুষের চোখে শিরোমণি আকালি দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আগামীকাল পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। পঞ্জাবে লড়াইয়ের ময়দানে সক্রিয় দলগুলির মধ্যে একটি অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে আম আদমি পার্টির পঞ্জাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি খোদ আপ নেতা। প্রথম থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। দলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাছা থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রচার সব কিছুতেই পঞ্জাবের জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এর পঞ্জাবের জনগণের মধ্যে একটা অন্য ভাবমূর্তি তৈরি হয়। তাঁরা ভাববেন আপ সরকারে এলে তাঁদের ইচ্ছে অনিচ্ছার দাম দেওয়া হবে। এই স্ট্র্যাটেজিতেই ভর করে জনগণের ভোটে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ হয়ে এসেছেন আপ সাংসদ ভগবন্ত মান।
তবে বিগত পঞ্জাব নির্বাচনের আগেই বারংবার কংগ্রেসের নিশানায় পড়েছেন আপ প্রধাম অরবিন্দ কেজরীবাল। কংগ্রেস নেতা রাহুল কেজরীবালকে নিশানা করে নির্বাচনী প্রচার থেকে বলেছিলেন, অরবিন্দ কেজরীবাল একটি বিচ্ছিন্নতাবাদীর বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন কেজরীবাল। ভোটের দিন কে জঙ্গি বুঝিয়ে দেবেন বলেছিলেন কেজরীবাল। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে তিনি পঞ্জাব বিধানসভার জন্য খালিস্তানপন্থী দল এসএফজে (Sikh For Justice) এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।