ভোয়া: বছর ঘুরলেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সেই কথা মাথা রেখে নিজদের প্রস্তুতি সারছে রাজনৈতিক দল গুলি। তারমধ্য বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে পঞ্জাবের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্য বাদানুবাদ লেগেই রয়েছে। নির্বাচনের আবহে, শুক্রবার দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে তীব্র আক্রমণ করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি। কেজরীবালকে ‘ক্ষমতালোভী’ ও ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেন চন্নি। পঞ্জাবের সাধারণ জনগণতে ভুল পথে চালিত করছে আপ প্রধান, এমন অভিযোগও শোনা যায় চন্নির মুখে।
কেজরীবালের বিরুদ্ধে নিজের আক্রমণ জারি রেখে চন্নি জানিয়েছেন, রাজ্য সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভকে চরিতার্থ করার জন্য তিনি পঞ্জাবকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যের গরীবদের উন্নয়ন সম্পর্কে উদাসীন হওয়ার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন চন্নি।
এক জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেজরীবাল ও তাঁর সঙ্গীদের পঞ্জাবের ইতিহাস মাথায় রাখা উচিৎ। রাজ্যের নাগরিকরা নিজের ভূমি ও মানুষকে ভালাবাসেন। সেখানে বহিরাগতদের কোনও জায়গা নেই। তিনি বলেন, “বহিরাগত হওয়ার পাশাপাশি কেজরীবাল ভুয়ো খবর ছড়াতে পছন্দ করেন। রাজ্যের বিষয়ে তিনি আসলে কিছুই জানেন না। এই ধরনে নিম্ন রুচির রাজনীতি করে পঞ্জাবে কখনও সফল হওয়া যাবে না।”
সম্প্রতি বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন প্রতিবেশি দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্জাব সফরে গিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীবাল বলেছিলেন, “পঞ্জাব কংগ্রেস জানাচ্ছে না যে চরণজিৎ সিং চন্নি, সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া নাকি নভজ্যোত সিং সিধু মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। উত্তর প্রদেশেও শাসক দল বিজেপি বলছে না যে এবারও যোগী আদিত্যনাথই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন নাকি অন্য কেউ। উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতেও একই খেলা চলছে। তবে চিন্তা নেই, আমরা বাকি দলের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করব।”
এই প্রতিক্রিয়াও আসে চন্নির তরফে। তিনি বলেন, “উনি কীভাবে জানেন যে পঞ্জাবের আমি আদমি কে? যখন উনি বুঝেছেন যে আমায় ভুয়ো আম আদমি বলে ভুল করেছেন, তারপর থেকেই আমায় নকল কেজরীবাল বলছেন। আম আদমি পার্টি যা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই পূরণ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি মাত্র চার মাস সময় পেয়েছি কাজ করার, কিন্তু আমি চার বছরের কাজ করব। আমি নিজে ঘুমাই না, আধিকারিকদেরও ঘুমাতে দিইনা। গোটা ব্যবস্থাই বদলে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন Omicron: ফোন বন্ধ! ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে ‘নিখোঁজ’ ১০ জনকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে