Omicron: ফোন বন্ধ! ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে ‘নিখোঁজ’ ১০ জনকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে

Omicron: করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল ক্রমশ। উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ থেকে রেহাই পেতে একাধিক পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভারতেও প্রবেশ করল ওমিক্রন।

Omicron: ফোন বন্ধ! ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে 'নিখোঁজ' ১০ জনকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে
ভারতে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 8:55 PM

বেঙ্গালুরু : দেশ জুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন স্তিমিত হয়ে এসেছে, জীবনযাত্রা যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তারই মধ্যে আচমকা হাজির করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এখনও পর্যন্ত কর্নাটকে দু জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে কর্নাটকের সরকার জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে দেশ ছেড়েছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি আরও ১০ জনকে খুঁজছে কর্নাটকের প্রশাসন। ওই ১০ জন এয়ারপোর্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক সরকার।

কর্নাটকের রেভিনিউ মিনিস্টার আর অশোক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর শুক্রবার জানিয়েছেন, আজ রাতের মধ্যেই যাতে ওই ১০ জনকে খুঁজে বের করে করোনা পরীক্ষা করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এয়ারপোর্ট ছেড়ে যেতে দেওয়া হবে না কোনও যাত্রীকে।

যে দু জন ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৬। তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ওই ব্যক্তি যখন ভারতে এসেছিলেন তখনই আরও ৫৭ জন বিদেশ থেকে আসেন কর্ণাটক। যদিও আসার পর তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবে তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন সুইচ অফ পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে যে সব দেশকে চিহ্নিত করেছে, সেই সব দেশ থেকে গত কয়েকদিনে ১৬০০০ জন এসেছেন ভারতে। এর মধ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত। এরই মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। গত ১০ দিনে বিদেশ থেকে ফিরেছে এমন ৩০ জনের কোনও খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে গত ১০ দিনে ৬০ জন এসেছেন বিদেশ থেকে। তাঁরা বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩০ জনে সেখানেই রয়েছেন, বাকিরা অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

কোভিড-১৯ এর নতুন সংস্করণ ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন সংস্করণের প্রথম শনাক্ত করেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। সম্প্রতিই তিনি দেশে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রকাশ পাওয়া লক্ষণগুলির ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। সর্বভারতীয় এক চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া দুই ধরনের মানুষের শরীরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তবে তার লক্ষণ অতি সামান্যই।

তিনি বলেছেন, ‘সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং পজিটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ১৬.৫ শতাংশে। টিকাকরণ হওয়া, না হওয়া মানুষ এবং শিশুদের মধ্যে এর সামান্য লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া এক ব্যক্তির আবার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।’

আরও পড়ুন : ওমিক্রন রুখতে বেশি কার্যকর হতে পারে কোভ্যাক্সিন? কী বলছেন আইসিএমআর আধিকারিক