Charanjit Singh Channi: বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতে পাল্টা চাল চন্নির, নিশানা বানালেন আপকেই!

Charanjit Singh Channi: বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি নির্বাচন কমিশনের চিঠির একটি কপি শেয়ার করেন। সম্প্রতি কুমার বিশ্বাসের যে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা সম্প্রচারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাই বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

Charanjit Singh Channi: বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতে পাল্টা চাল চন্নির, নিশানা বানালেন আপকেই!
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 11:19 AM

চণ্ডীগঢ়: বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই ‘ইউপি-বিহারকে ভাইয়া’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)। নিজের পিঠ বাঁচাতে বলেছেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এবার আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)-র বিরুদ্ধেও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বিতর্ক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্নি। কেজরীবালের প্রাক্তন সতীর্থ কুমার বিশ্বাসের মন্তব্য ঘিরেই তিনি নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) চিঠির একটি কপি শেয়ার করেন। সম্প্রতি কুমার বিশ্বাসের যে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা সম্প্রচারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাই বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত?

সম্প্রতিই অরবিন্দ কেজরীবালের প্রাক্তন সতীর্থ কুমার বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োয় কুমার বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়, “একদিন কেজরীবাল আমায় বলেছিলেন তিনি হয় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বা স্বাধীন দেশের (খলিস্তান) প্রধানমন্ত্রী হবেন। উনি যেকোনও ভাবে ক্ষমতা চান।”

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কেজরীবালের প্রতিপ্রক্ষ দলগুলি আক্রমণ করতে শুরু করেন। নির্বাচন কমিশনের তরফেও ওই ভিডিয়ো সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গতকালও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুমার বিশ্বাসের ওই মন্তব্য টেনে বলেন, “পাকিস্তান এবং কেজরীবাল ও তাঁর দলের একটাই উদ্দেশ্য, ভারতকে ভেঙে টুকরো করা। ক্ষমতার লোভে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে হাত মেলানো হচ্ছে। এই অভিযোগকে  গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত পঞ্জাববাসীর।”

তদন্তের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে:

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চিঠির ছবিই পোস্ট করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, এই বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। তিনি বলেন, “রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে দেখা উচিত যে, বিচ্ছিনতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পঞ্জাববাদীদের কী মূল্য চোকাতে হয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত পঞ্জাবীরাই চিন্তিত, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা।”

নজর ঘোরাতেই কি নিশানায় আপ?

মঙ্গলবারই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। তিনি বলেছিলেন, “প্রিয়ঙ্কা গান্ধী পঞ্জাবের পুত্রবধূ। উনি পঞ্জাবী বহু। উত্তর প্রদেশ, বিহার, দিল্লির ভাইয়ারা এখানে এসে শাসন চালাতে পারে না। আমরা ইউপির ভাইয়াদের পঞ্জাববাসীদের পথভ্রষ্ট করতে দেব না।”

এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। একদিকে যেমন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল এই মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলেছেন, সেখানেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নিশ্চুপ থাকা নিয়ে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে, “দিল্লির মালকিন পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিলেন।”

মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা ধামাচাপা দিতেই আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে নিশানা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: MEA on Ukraine-Russia Conflict: বাড়ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা, ভারতীয়দের কি ফিরিয়ে আনবে বিদেশমন্ত্রক?