চণ্ডীগঢ়: ঝাড়ুতে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি। টিকতে পারেনি অন্যান্য আঞ্চলিক দলও। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টাতেই সাফল্য পেয়েছে আম আদমি পার্টি। দিল্লির পর এবার পঞ্জাবের মসনদেও বসতে চলেছে আপ-ই। নির্বাচনের আগে থেকেই ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তাই নতুন বিধায়কদের পরামর্শ দিলেন হবু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তাঁর প্রধান পরামর্শই হল, রাজধানী চণ্ডীগঢ় নয়, বরং নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রেই বেশি সময় কাটান। মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার জন্যও যেন তারা আশা করে বসে না থাকেন, সেই পরামর্শও দেন তিনি।
আগামী বুধবারই পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ভগবন্ত মান। ভোটের ফল প্রকাশের দিনই তিনি জানিয়ে দেন, রাজভবনে নয়, ভগৎ সিংয়ের গ্রামেই তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। শুক্রবার সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা যেখানেই গিয়ে ভোট চেয়েছি, সেই সমস্ত জায়গাতেই আমাদের কাজ করতে হবে। শুধু চণ্ডীগঢ়ে থাকলেই হবে না, সমস্ত বিধায়কদের সেই এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে, যেখান থেকে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।”
দলের ৯১ জন বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ক্যাবিনেটে ১৭ জন মন্ত্রীর ঠাঁই হবে। কেউ মন খারাপ করবেন না। আপনারা সবাই ক্যাবিনেট মন্ত্রী।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতেই জয়ী হয় আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান নিজেও ধুরি কেন্দ্র থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। জয়ের পরই বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় পেয়ে দয়া করে হুঁশ হারাবেন না। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। যারা দলকে ভোট দেননি, তাদের জন্যও কাজ করুন। আপনারা পঞ্জাবীদের বিধায়ক। ওনারাই সরকার বেছে নিয়েছেন।”
শুক্রবারই ভগবন্ত মান আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে যান। আগামী ১১৬ মার্চ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।