Congress G-23 Meet: রাহুলে আস্থা নেই, সনিয়ার বৈঠকেও যাওয়া অনিশ্চিত! বিদ্রোহের ডঙ্কা ‘জি-২৩’র বৈঠকে

Congress G-23 Meet: কংগ্রেস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত  সকল নেতারাই এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে কংগ্রেস বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। যদি এই মুহূর্তেই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

Congress G-23 Meet: রাহুলে আস্থা নেই, সনিয়ার বৈঠকেও যাওয়া অনিশ্চিত! বিদ্রোহের ডঙ্কা 'জি-২৩'র বৈঠকে
বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসছেন মণীশ তিওয়ারি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2022 | 1:40 PM

নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ পেতেই বেরিয়ে এসেছে কংগ্রেসের কঙ্কালসার দশা। প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও। গান্ধী পরিবার যেখানে হার মেনে নিতে ব্যস্ত, সেখানেই ফের একবার সরব হতে শুরু করল বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠী (G-23 Meet)। শুক্রবারই দিল্লিতে বৈঠকে বসেন গুলাব নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) থেকে আনন্দ শর্মা(Anand Sharma)-র মতো বিক্ষুব্ধ নেতারা। গান্ধী পরিবারকে বাদ দিয়েই এই বৈঠক ফের একবার কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। একইসঙ্গে চলতি বছরেই কংগ্রেসের যে সাংগঠনিক নির্বাচন রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

২০২০ সালেই কংগ্রেসের ২৩ জন শীর্ষ নেতা দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের অন্দরে সাংগঠনিক পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সময়ই তারা সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘জি-২৩ নেতা’ নামে পরিচিত হন। কংগ্রেসের কাঠামোয় বদল চেয়ে সরব এই নেতারা পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পরই ফের একবার বৈঠকে বসলেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতেই বৈঠকে বসেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।

বিক্ষুব্ধদের এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সদস্য আনন্দ শর্মা থেকে শুরু করে কপিল সিব্বল, মণীশ তিওয়ারি, অখিলেশ প্রসাদ সিং, ভূপিন্দর সিং হুডার মতো বিশিষ্ট নেতারা। এছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতা ভার্চুয়াল মাধ্যমেও যোগদান করেছিলেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে শীর্ষ নেতৃত্বদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। কয়েকজন নেতা সাফ জানিয়ে দেন যে, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে তাঁদের আর ভরসা নেই। এমনকি আগামিদিনে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে, সেই বৈঠকেও তারা যোগ দিতে চান কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ওই বৈঠকে কেবল গান্ধীদের প্রশংসাতেই সময় ও শক্তি খরচ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথও জানিয়েছেন, দলের মধ্যে একতার অভাব ও অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই পঞ্জাব হাতছাড়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও সঠিক সাংগঠনিক পরিকাঠামোর অভাব থাকায় আসন দখল করতে পারেনি কংগ্রেস।

কংগ্রেস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত  সকল নেতারাই এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, কংগ্রেস বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। যদি এই মুহূর্তেই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “গতকালের বৈঠক আনুষ্ঠানিক ছিল না। আমরা যারা দিল্লিতে উপস্থিত ছিলাম, তারা দেখা করেছি। শীঘ্রই সমস্ত নেতারাই আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করব।”