Ghatal Masterplan: তিল তিল করে গড়ে তোলা বাড়িটা ভেঙে ফেলবেন খোদ পুর চেয়ারম্যান! ঘাটালে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান তুহিনকান্তি
Ghatal Masterplan: প্রতি বছর বন্যায় ভাসে ঘাটাল। ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। সেই ছবি যাতে আর না ফেরে, তার জন্য় তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।

ঘাটাল: ঘাটালবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে অবেশেষে! দফায় দফায় চলছে বৈঠক। মাস্টারপ্ল্যান তৈরির প্রস্তুতি তুঙ্গে। ঘাটালের সাংসদ দেবের কথা রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে তৈরি হয়েছে অন্য এক জটিলতা। ভাঙা পড়বে বাড়ি-দোকান। তাতে কতটা এগিয়ে আসবে সাধারণ মানুষ? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
পুরো প্ল্যান কার্যকর করতে গেলে বেশ খানিকটা জমি প্রয়োজন। সেই সব জমির মালিকরা বেঁকে বসছেন অনেকেই। তবে নিজের বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে সম্মতি দিচ্ছেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বের। যে অংশে বাড়ি ভাঙতে হবে বলে জানা গিয়েছে, তারই মধ্যে রয়েছে তাঁর তিন তলা বাড়ি। তিল তিল করে ১০ বছর ধরে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য সেই বাড়ি দিয়ে দিতে চান পুরসভার চেয়ারম্যান।
একই সঙ্গে হাত জোড় করে ঘাটালের মানুষকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “তিল তিল করে ১০ বছর ধরে বাড়িটা তৈরি করেছি। কিন্তু ঘাটালের মানুষের বন্যায় যা কষ্ট হয়, সে কথা ভেবেই বাড়িটা দিয়ে দিতে চাই।”
এদিকে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে জমি অধিগ্রহণের তোড়জোড় চলছে এলাকাজুড়ে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঘাটাল শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। শিলাবতীর পশ্চিম পাড়ে ঘাটাল বাজারে দুই দিকে ৬০ ফুট করে জমি নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। ইতিমধ্যে মাপজোপ করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নদীর পাড়ে যেমন সরকারি জমি রয়েছে, তেমন রয়েছে রায়ত জমিও।
ঘাটালকে বন্যা থেকে বাঁচাতে ১২ টি ওয়ার্ডকে নিয়ে সার্কিট বাঁধ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। এর জন্য ঘাটাল শহরের পশ্চিমপাড়ে নদী ঘেঁষে থাকা রায়ত জমি কিনবে সরকার। সেখানে রয়েছে পুরপ্রধান তুহিনকান্তি বেরার বাড়ি। এছাড়া রয়েছে শহরের শতাধিক দোকান। আপত্তি তুলেছেন সেই সব দোকানের মালিকরা। ঘাটালের দোকান মালিকদের দাবি তারা কোনওমতেই জমি দেবে না। তাদের বক্তব্য়, “এই দোকান চলে গেলে খাব কী? এটা পূর্বপুরুষের ব্যবসা।”
ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তথা মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ মনিটারিং কমিটির সদস্য তুহিনকান্তি বেরা জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রশাসনের আধিকারিকদেরও নজরে আনা হবে। এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে নতুন জট তৈরি হয় কি না সেটাই এখন দেখার।





