Sacked Teachers Hunger Strike: চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ! ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে বৃষ্টি মাথায় করেই জারি চাকরিহারাদের অনশন
Sacked Teachers Hunger Strike: এক চাকরিহারা অনশনকারী বলেন, 'দেওয়ালে পিঠ যখন ঠেকে যায়, তখন আর যাওয়ার জায়গা থাকে না। তাই আমাদের দাবি একটাই। সঠিক পথে যোগ্যদের বাছাই। প্রয়োজনে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে হবে।'

কলকাতা: রাত বাড়ছে। আর এই গহীন রাতের সঙ্গী হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। কখনও দু-এক ফোটা বৃষ্টি। তার মাঝেই চেয়ে রয়েছে কিছু নিদ্রাহীন চোখ। চোখে-মুখে সারাদিনের ক্লান্তি। পেটে দানা টুকু পড়েনি। কিন্তু এখন তো সেটাই প্রতিবাদের ‘হাতিয়ার’। ১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করে সল্টলেকের SSC ভবনের সামনে এখনও টানা অনশনে বসে চাকরিহারারা। কেউ ছাতা মাথায়, কেউ ছাতা ছাড়াই।
এদিন ওই অনশন স্থল থেকে এক চাকরিহারা অনশনকারী বলেন, ‘দেওয়ালে পিঠ যখন ঠেকে যায়, তখন আর যাওয়ার জায়গা থাকে না। তাই আমাদের দাবি একটাই। সঠিক পথে যোগ্যদের বাছাই। প্রয়োজনে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসুক, যাই আসুক। নিজেদের দাবি নিয়ে আমরা এখানেই বসে রয়েছি।’
ইতিমধ্যে যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কে রাজ্যজুড়ে চড়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। বৃহস্পতিবারও পথে নেমেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। সেই সময়ও নিজেদের দাবি নিয়ে অনড় হয়ে এসএসসি ভবনের সামনে অনশনে বসেছিলেন এই চাকরিহারারা। দিন পেরলেই যেমন রয়েছে এই আন্দোলনকারীদের আচার্য সদন অভিযান। তেমনই রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও। মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ৮ জন প্রতিনিধি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিকাশ ভবনে রয়েছে এই বৈঠক। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা দফতরের দু’জন আধিকারিক। এছাড়াও, থাকবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নেতাজি ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের প্রতি মানবিক ও তাদের জন্য বিকল্প পথ খোঁজার বার্তা দিয়েছিলেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আরও একটি বৈঠক। কতটা জট কাটবে তাতে? নজর এখন সেই দিকেই।
এদিন অনশনকারীদের সঙ্গে রাতের বেলায় দেখা করতে আসেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। অনশনকারীদের তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই দাবি আদায় করতে হবে। কিন্তু এই আমরণ অনশনকে সমর্থন করিনা।‘

