চণ্ডীগঢ়: বছর ঘুরলেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচন ঘোষণার আগেই রণকৌশল প্রস্তুত করতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক প্রস্তুতির পাশাপাশি পরস্পরের প্রতি আক্রমণ- পাল্টা আক্রমণ লেগেই রয়েছে। এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে কটাক্ষ করলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। শনিবার আম আদমি পার্টির সর্বোচ্চ নেতা অরবিন্দ কেজরীবালকে ‘রাজনৈতিক পর্যটক’ বলে আক্রমণ করেন সিধু। কেজরীবাল ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ সিধুর।
এদিন এক জনসভা থেকে প্রকাশ্যে কেজরীবালকে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সিধু। সিধুর অভিযোগ, কেজরীবাল দিল্লিতে ৮ লক্ষ কর্মসংস্থার তৈরি করেছেন বলে দাবি করলেও আসলে সংখ্যাটা ৪৪০। সিধু বলেন, “পঞ্জাবের যেকোনও জায়গায় আমার মুখোমুখি বসুন। অথবা দরকার হলে আমাকে দিল্লিতেও ডেকে পাঠাতে পারেন, আপনার বাড়িতেই আমরা বসব। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও থাকবে। যুক্তিতে যদি আমি পরাজিত হই তবে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে আপ জিতলে পঞ্জাবের প্রত্যেক মহিলারা মাসে ১০০০ টাকার ভাতা পাবেন। দিল্লির মহিলাদের জন্যও এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেজরীবাল জানিয়েছিলেন বেআইনি বালি খাদান থেকে আইন বিরুদ্ধভাবে ২০ হাজার কোটি টাকার বালি উত্তোলন করা হয়। আম আদমি পার্টি সরকারে এলে, এই পরিস্থিতি বদল করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি নিয়েও কেজরীবালকে কটাক্ষ করেছিলেন সিধু। তিনি মনে করেন এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন অসম্ভব। সিধু বলেন, “কেজরীবাল বলছেন, বালি খাদান থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা আসে। আগের অকালি দল ও বিজেপির সরকার এই খাতে প্রত্যেক বছর ৪০ কোটি জমা করেছে, আমাদের সরকার সেই আয়কে ৩০০ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। তিনি ২০ হাজার কোটি টাকা কোথায় পেলেন? আমাকে কোনও একটি রাজ্য দেখান যেখানে বালি খাদান থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় হয়।”
তিনি আরও বলেন, “কেজরীবাল, আমি আপনাকে বলতে চাই, আপনি পঞ্জাবের ব্যপারে কিছুই জানেন না। আপনি রাজনৈতিক পর্যটক এবং একজন মিথ্যেবাদী, যে সাড়ে চার বছর পর পর একবার আসেন এবং ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেন। কেন আপনি সাড়ে চার বছরে একবারও আসেননি?” দিল্লিতে মদের বেসরকারিকরণ নিয়েও কেজরীবালকে আক্রমণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সিধু জানিয়েছেন, পঞ্জাবে মদের ব্যবসা করে ৩০ হাজার কোটি টাকা রোজগার করা যেতে পারে, বালি খাদান ও কেবল ব্যবসা থেকেও ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা যেতে পারে।